রণয় তেওয়ারি: কীভাবে খুন দুর্গা সরখেলকে? ওয়াটগঞ্জকাণ্ডে তদন্তে এবার লালবাজারের ফরেন্সিক বিভাগ। মৃতার বাড়ি ও যেখান থেকে দেহাংশ উদ্ধার হয়েছিল, সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করলেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়িতে পাওয়া গেল রড। সূত্রের খবর তেমনই।
ঘটনাটি ঠিক কী? ২ পার। মঙ্গলবার ওয়াটগঞ্জের একটি পরিত্য়ক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার ধড়হীন মাথা ও হাত! কালো প্লাস্টিকে মোড়ানো কয়েকটি ব্যাগ ছিল দেহাংশ। দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় থানা খবর দিয়েছিলেন এলাকারই কয়েকজন। এরপর মৃত মহিলাকে শনাক্ত করেন তাঁর দুই বোন।পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম দুর্গা সরখেল। খিদিরপুরে ওয়াটগঞ্জ থানার এলাকারই হেমন্ত চন্দ্র স্ট্রিটে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। স্বামী, শাশুড়ি, ননদ এবং দেওরের সঙ্গে থাকতেন বত্রিশের ওই মহিলা। স্বামী নেশাগ্রস্ত ছিলেন। রিহ্যাবে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। বাড়ি ফেরেন সোমবার।ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উল্লেখ, প্রথম ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয় দুর্গাকে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুকরো টুকরো করা হয় দেহ এবং ঘটনাটি ঘটে দেহ উদ্ধারের ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টাকে আগে! মৃতের ভাসুর নীলাঞ্জন সরখেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তদন্তে জানা গিয়েছে, সোমবার কোনও কারণে দুর্গার বচসা হয় নীলাঞ্জনের। এরপরই খুন হতে হয় ওই মহিলাকে। শুধু তাই নয়, দেহ অন্তত ৯ টুকরো করে প্রমাণ লোপাটের ছক কষেছিল অভিযুক্ত। কিন্তু কী কারণে বচসা? দেহের বাকি অংশ-ইবা কোথায়? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।