• পণ্য পরিবহণে লক্ষ্মীলাভ, রেকর্ড কলকাতা বন্দরের
    প্রতিদিন | ০৬ এপ্রিল ২০২৪
  • স্টাফ রিপোর্টার: পণ‌্য পরিবহণে নিজের রেকর্ড ভাঙার নজির অক্ষুণ্ণ রাখল কলকাতার শ‌্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর। বছর শেষে কোষাগারে লাভের কড়ি যোগ হয়েছে ৫০১.৭৩ কোটি টাকা। যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় ১৯৭.৬৬ কোটি টাকা বেশি।

    বৃহস্পতিবার বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সদ‌্যসমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে হলদিয়া ও কলকাতা মিলিয়ে মোট ৬৬.৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন পণ‌্য পরিবহণ করেছে তারা। দেশের প্রাচীনতম বন্দরের ১৫৪ বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাসে যা রীতিমতো নজির। পূর্ববর্তী অর্থবর্ষে এই পরিমাণ ছিল ৬৫.৬৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন। অর্থাৎ চলতি অর্থবর্ষে কলকাতা বন্দরের বাণিজ‌্য বৃদ্ধির হার ১.১ শতাংশ।

    কলকাতা বন্দরের চেয়ারম‌্যান রথেন্দ্র রমনের কথায়, বন্দরে দেড় শতাধিক বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন এই সাফল্যের কারণ বন্দরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা, সম্পদের সামগ্রিক ব‌্যবহারে জোর দেওয়ার জন‌্য ধারাবাহিকভাবে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ। তিনি জানান, এই অর্থবর্ষে হলদিয়া বন্দরের পণ‌্য পরিবহণের পরিমাণ ৪৯.৫৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন। যা গতবারের ৪৮.৬০৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে ১.৯১ শতাংশ বেশি। তবে খিদিরপুর লকগেটের সংস্কারের কাজ চলার জন‌্য কলকাতা ডকের বাণিজ‌্য চলতি অর্থবর্ষে কিছুটা ঘা খেয়েছে। যার ছাপ পড়েছে কলকাতা বন্দরের সার্বিক বাণিজ‌্য বৃদ্ধির উপর।

    বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, সদ‌্যসমাপ্ত অর্থবর্ষে কলকাতা ডকের মাধ‌্যমে পণ‌্য পরিবহণ হয়েছে ১৬.৮৫৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন। আগের বছর এই পরিমাণ ছিল ১৭.০৫২ মিলিয়ন মেট্রিক টন।
    চলতি অর্থবর্ষে ২০১.২৩ কোটি টাকা ব‌্যয়ে চারটি বড় মাপের প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম‌্যান। যার অন‌্যতম ৫২.৮২ কোটি টাকা বার্ষিক ২.৫ লক্ষ টন ক্ষমতাসম্পন্ন রোল মাউন্টেড কোয়ে ক্রেন স্থাপন। পাশাপাশি ১০৭.৪৯ কোটি টাকা ব‌্যয়ে হলদিয়ার ১ ও ২ নম্বর ওয়েল জেটি ও দুটি বার্জ জেটিতে অত‌্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপণ ব‌্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ৩১.৫৫ কোটি টাকায় হলদিয়ায় মূল ড্রেনেজ ব‌্যবস্থার উন্নয়ন এবং খিদিরপুর জেটিতে সৌর বিদ‌্যুৎ প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

    বন্দর সূত্রে খবর, হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ যেখানে পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য তরল, উদ্ভিজ্জ তেল, লৌহ আকরিক, কয়লা ও কোক, সার, কনটেনার বাহিত পণ্যের ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে, সেখানে কলকাতা ডকে জোর দেওয়া হয়েছে সার, কাঠ, কয়লা ও কোক, ডাল ও ডাল জাতীয় পণ্যের উপর। বন্দর চেয়ারম্যানের কথায়, আগামী দিনে জাহাজের সংখ‌্যা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও বড় মাপের পণ‌্যবাহী জাহাজকে আনার জন‌্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরিতে জোর দিচ্ছেন তাঁরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)