New York Earthquake : এবার থরহরিকম্প পৃথিবীর ব্যস্ততম শহর! কেঁপে উঠল বহুতলে ঘেরা নিউ ইয়র্ক, দেখুন ভিডিয়ো
এই সময় | ০৬ এপ্রিল ২০২৪
তাইওয়ানের আতঙ্ক এবার গ্রাস করল আমেরিকাকেও। জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নিউ ইয়র্কের মতো শহর। সদর দফতরে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। আচমকাই কেঁপে উঠল তাঁদের চেয়ার। বেশ কিছু বিমান পরিষেবা বাতিল করা হল। বড় বড় বহুতলে আসবাবপত্র হুড়মুড়িয়ে পড়ে গেল। এমনই অভিজ্ঞতার স্বীকার হল নিউ ইয়র্ক।কথায় আছে, নিউ ইয়র্ক পৃথিবীর ব্যস্ততম শহর। এ শহর কখনও ঘুমায় না। নিদ্রাহীন সেই ব্যস্ত শহরে জোরাল কম্পন যেন কয়েক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ করে দিল সবকিছু। যদিও ভূমিকম্পের জেরে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। শহরের আইকনিক স্কাইলাইনগুলিও অক্ষত। বিখ্যাত এম্পায়ার স্টে
বিল্ডিংয়ের এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট থেকে ভূমিকম্পের পর পরই পোস্ট করা হয়, 'আই অ্যাম ফাইন'।
জানা গিয়েছে, নিউ ইয়র্কে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৮। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার ছিল লেবাননে। কেঁপে ওঠে নিউ জার্সি, ডমিনিকা ইউনিজেওস্কা।
৫০ বছরের এক প্রত্যক্ষদর্শী কম্পের তীব্রতার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, 'আমি এখনও কাঁপছি। এত শক্তিশালী ভূমিকম্প আগে কখনও দেখিনি। আগেও ভূমিকম্প হয়েছে কিন্তু, এত তীব্র ছিল না। গোটা বাড়িটা কাঁপছিল। বিছানা নড়ছিল। ঠক ঠক করে কম্পনের শব্দ হচ্ছিল। আমি দৌড়ে যাই সারমেয়কে দেখতে।'
ব্রুকলিনও কম্পন অনুভব করে। একাধিক বহুতল কেঁপে ওঠে। সেখানকার বাসিন্দা ৬২ বছরের অ্যানা ভিলাগ্রান বলেন, 'আমি ভয় পেয়ে আছি এখনও। মনে করে এখনও কাঁপছি। অনেকেই এখনো রাস্তায় রয়েছেন। বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছেন।'
একটি ভূমিকম্পেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, ৪ রিখটার স্কেল মাত্রার একটি আফটারশকেও কেঁপে ওঠে নিউ ইয়র্কের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ফের একবার এম্পায়ার বিল্ডিংয়ের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়, 'আমি এখনও ঠিক আছি।'
গাজা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি জরুরি ভিত্তিক বৈঠক ছিল। নিউ ইয়র্কের সদর দফতরে সেই বৈঠক চলছিল। কম্পনের জেরে মাঝপথেই চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন সদস্যরা। 'সেভ দ্য চিল্ড্রেন'-এর প্রতিনিধি জন্টি সোয়েরিপ্টো বলে ওঠেন, 'এটা কি ভূমিকম্প হচ্ছে?'
নিউ ইয়র্ক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভূমিকম্পের অ্যালার্ট জারি করে প্রত্যেক বাসিন্দার ফোনে এমারজেন্সি অ্যালার্ট দেওয়া হয়। যে কোনও প্রয়োজনে ৯১১ এমারজেন্সি নম্বরে ফোন করতেও বলা হয়। নিউ ইয়র্কের লা গুয়ার্দিয়া, নিউ জার্সির নেওয়ার্ক এবং ফিলাডেলফিয়াতে বিমান পরিষেবা স্থগিত করে দেওয়া হয়। ফিলাডেলফিয়া থেকে শুরু করে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত নেটিজেনরা নানারকমের মিমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছয়লাপ করে তুলেছেন। কেউ কেউ আবার নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ছবি-ভিডিয়ো নেটপাড়ায় পোস্ট করেছেন।