Election Commission Of India : লোকসভায় ভোট না দিলে অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হবে ৩৫০ টাকা? দাবি ঘিরে শোরগোল
এই সময় | ০৬ এপ্রিল ২০২৪
দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। হাতে আর বাকি মাত্র ১৩ দিন বাকি। তারপরই শুরু হচ্ছে ভারতের ১৮তম সাধারণ নির্বাচন। ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত মোট সাত দফায় ভোটদান করবে জনতা। পছন্দের রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর নামের পাশে EVM-এর বোতাম টেপা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু, ভোটদান না করলে কি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে তিনশো টাকা কেটে নেওয়া হবে?সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি প্রশ্ন। একাধিক মহলে দাবি করা হয়েছে, ভোটদানে আগ্রহী না থাকলে হতে পারে সর্বনাশ। ভোটার লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট ভোটের দিন নিকটবর্তী বুথে ভোট দিতে না গেলে সাড়ে তিনশো টাকা কেটে নেওয়া হবে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্ট থেকে। বিষয়টি কি সত্যি?
কী জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন?ভোটারদের বিভ্রান্তি দূর করতে এবং ভোটদান সম্পর্কিত সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে ইতিমধ্যেই প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই 'মিথ ভার্সেস রিয়্যালিটি' মাইক্রো ওয়েবসাইটেই এই ভোটদান না করলে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট জবাব দিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে অংশ না নিলে ভোটারদের অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে তিনশো টাকা কেটে নেওয়ার দাবি সম্পূর্ণ ভুয়ো। ভারতে ভোটদান বাধ্যতামূলক নয়। ফলে কেউ লোকসভায় ভোটদান করতে আগ্রহী না থাকলে নির্দিষ্ট দিন অনুপস্থিত থাকতেই পারেন। এতে কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও টাকা কাটার প্রশ্নই ওঠে না।
'মিথ ভার্সেস রিয়্যালিটি''মিথ ভার্সেস রিয়্যালিটি' নামে একটি বিশেষ মাইক্রো ওয়েবসাইট/অ্যাপ চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটাদান সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর রয়েছে সেখানে। ফলে ভোটদানের আগে অনায়াসেই বিভ্রান্তি দূর হবে ভোটারদের। লোকসভা ভোটের আগে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রচলিত ধারণা এবং বিশ্বাস রয়েছে। সেগুলি কাটিয়ে তুলতেই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মাইক্রো এই ওয়েবসাইটে‘মিথ ভার্সেস রিয়্যালিটি’ অর্থাৎ প্রচলিত ধারণা বনাম বাস্তব শীর্ষক বিভাগে ভোটদানে অংশ না নিলে ভোটারদের অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে তিনশো টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যাবতীয় বিভ্রান্তি দূর করেছে কমিশন।
এই ওয়েবসাইটটির উদ্বোধন করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সান্ধু। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যে কোনও ব্যক্তি এই ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করে যে কোনও বিষয়ে প্রকৃত তথ্য যাচাই করতে পারবেন। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ‘ভুল তথ্য’ এবং ‘গুজব’ থেকে রক্ষা করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।