• ‌কংগ্রেস ইস্তাহারে ব্রাত্য পাহাড়, ক্ষোভ দলেই
    আজকাল | ০৬ এপ্রিল ২০২৪
  • অলক সরকার, শিলিগুড়ি:‌ কংগ্রেস প্রকাশ করেছে নির্বাচনী ইস্তাহার। আর সেই ইস্তাহার জনসমক্ষে আসার পরই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গের অনেকাংশেই। কারণ, ইস্তাহার প্রকাশ হলেও সেই ইস্তাহারে জায়গা পায়নি পাহাড় সমস্যা থেকে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন। অথচ দার্জিলিঙের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান নিয়ে বিশেষ কিছু ইস্তাহারে থাকবে বলে অনেকেই আশা করেছিলেন। দাবিও জানানো হয়েছিল সেইরকম। কিন্তু সেটা না হওয়ায় কংগ্রেস হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে, কেউ আবার আড়ালে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। এই ক্ষোভ বেশি হবার কারণ, ইস্তাহারে লাদাখ ও মণিপুর প্রসঙ্গ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস বিরোধীরা এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। এবারে কংগ্রেসের ইস্তাহারে উত্তরবঙ্গকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি করা হয়েছিল বিভিন্ন স্তর থেকে। পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর তিনি নিজেও একগুচ্ছ দাবি পাঠিয়েছিলেন। তাতে পাহাড় সমস্যা সমাধানে ও উত্তরবঙ্গের সামগ্রিক উন্নয়নে কিছু কথা ইস্তাহারে রাখার অনুরোধও করেছিলেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সম্প্রতি হমরো পার্টির সুপ্রিমো ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি চেষ্টা করবেন কং ইস্তাহারে পাহাড় সমস্যার সুরাহার বিষয় রাখার। পাহাড় সমস্যার সাংবিধানিক সমাধান, পাহাড়ের সংস্কৃতি রক্ষা, ষষ্ঠ তফশিলে অন্তর্ভুক্তিকরণ, ১১ জনজাতির স্বীকৃতি, শিলিগুড়িতে আইটি হাব কিংবা ইকোনমিক করিডরের মতো প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে৷ কিন্তু তার কিছুই দেখা গেল না ইস্তাহারে। পাহাড় নিয়ে তো কিছু নেই, এমনকি উত্তরবঙ্গের চা, পর্যটন, শিল্প বাণিজ্য কোনও বিষয়ই নেই। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জীবন মজুমদার বলেন,‘‌ইস্তাহারটি গোটা দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি করা হয়েছে৷ তবে আমাদের নেতারা পাহাড় তথা উত্তরবঙ্গ নিয়ে যথেষ্ট তৎপর৷’‌ ইন্ডিয়া জোটের শরিক হমরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডস বলেছেন,‘‌ইস্তাহারে লিখলেই কিছু হয় না। বিজেপিও ইস্তাহারে লিখেও কিছু করেনি। এর জন্য মানসিকতা দরকার। কংগ্রেসে সেটা আছে এবং আমরা এব্যাপারে সচেষ্ট৷’‌ কংগ্রেসের প্রদেশ নেতা তথা পাহাড়ের ইনচার্জ বিনয় তামাং অবশ্য এসবে ভুলতে নারাজ। তিনি প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে দলের ওপর খাপ্পা। ইস্তাহার নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন,‘‌ইস্তাহারে পাহাড় কিংবা উত্তরবঙ্গ কোনও কথা নেই। এমনিতেই মুনিশ তামাংকে প্রার্থী করে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস নেতারা৷ এবার ইস্তাহারে কিছু না রেখে কার্যত বিজেপিকে ময়দান ছেড়ে দেওয়া হল। আমি নিজেও নয়টি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম৷ এখন ভাবছি প্রচারে গিয়ে মানুষকে কী বলব।’‌ শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‌কংগ্রেসের সিলেবাসে পাহাড় আর উত্তরবঙ্গ আগেও ছিল না, এখনও নেই৷ তাই তারা শূন্য হয়ে গিয়েছে৷ এবারও ভোট পাবে না৷’‌
  • Link to this news (আজকাল)