ট্যুইট বির্তকে পর এবার প্রচারে গিয়ে জনরোষের মুখে শতাব্দী!
২৪ ঘন্টা | ০৬ এপ্রিল ২০২৪
প্রসেনজিৎ মালাকার: আবারও বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী রায়। এবার তিনবারের সাংসদকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। কেউ দাবি তুললেন গত ১০ বছরে সাংসদকে একবারও দেখা যায়নি। আবার কেউ দাবি তুললেন আবাস যোজনার বাড়ি পায়নি, কেউ আবার বললেন ১০০ দিনের কাজ হয়নি। অনেকে আবার বললেন, যাঁরা দল করছে তাঁরাই কেবল সুবিধা পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ কোন সুবিধা পাচ্ছে না। শনিবার সকাল সকাল তৃণমূল প্রার্থীকে পেয়ে এমনই একগুচ্ছ দাবি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ালেন। এদিন সকালে মহম্মদবাজার ব্লকের পুরাতন গ্রাম, লাউজোড়া সহ একাধিক জায়গায় প্রচারে গিয়েছিলেন শতাব্দী। সেখানে গ্রামে পৌছাতেই গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের দাবি, গত দশবছরে শতাব্দীকে একবারও দেখা যায় নি। আবার অনেকে বলছেন সরকারি সুবিধা কেবল দলের কর্মীরা পেয়েছেন। সাধারণ মানুষ পায় নি। যদিও শতাব্দীর পাল্টা দাবি, 'কেন পাই নি দেখতে হবে।'
কিছুদিন আগেই বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকে এক্স হ্যান্ডেলে আক্রমণ করেছিলেন শতাব্দী রায়। অভিনেত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, '২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কোচবিহার জেলায় দায়িত্বে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কোচবিহার জেলায় শীতলকুচি কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। তারপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। শীতলকুচি কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্য পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ, সিআইডির আতস কাচের তলায় ছিল এই অফিসার। এই অফিসারের সম্পত্তিগত বিষয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। দেবাশিস ধরের সম্পত্তির বিভিন্ন নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করেন সিআইডি গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই জানা যায়, ২০১৫-১৭ সালের মধ্যে কয়েকশো গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে ওই অফিসারের।'এই পোস্টে শোরগোল ফেলার পর শতাব্দী রায় আর এক অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেল হ্যাক করা হয়েছে। এনিয়ে পুলিস ও দলের দ্বারস্থ তৃণমূল প্রার্থী। দেবাশিস ধরকে নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করার প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানান, তিনি টুইট ব্যবহার করেন না। তিনি বলেন,"আমি টুইট ব্যবহার করি না। এরকম পোস্ট আমি করি না। কে করেছে কেন করেছে দেখতে হবে। পুলিসকে আমি জানিয়েছি।" শতাব্দী রায়ের এই দাবির পরই উঠেছে তৃণমূল প্রার্থীর এক্স হ্যান্ডেল হ্যাক করার অভিযোগ।