অসমের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেনকুমার বোরাহকে বিজেপি যোগের আহ্বান অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার। এমনকী তিনি অসমের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভূপেন দেখার ইচ্ছা প্রকাশও করেন। বিজেপিতে যোগ দিলে মুখ্য়মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ভূপেনকেই সমর্থন করবেন তিনি বলে জানান। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, 'ওঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়ে আমি যথাসাধ্য় চেষ্টা করছি।'শুক্রতেই প্রথম নয়, এর আগেও একই রকম ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন হিমন্ত। বৃহস্পতিতেই তিনি জানিয়েছিলেন, অসমের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সবাপতি ভূপেন বোরাহকেই দেখতে চান। তবে তার জন্য় অবশ্য ভূপনকে সরাসরি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি যোগের আহ্বান জানান তিনি। তাঁর মতে, 'এখুনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া উচিত ভূপনের।' এপ্রসঙ্গে নিজের উদাহরণই তুলে ধরেন বিশ্বশর্মা। বিজেপির ঢালাও প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'বিজেপি এমন এক দল যেখানে অন্য দল আসা ব্যক্তিরাও উচ্চ পদ পান।' এ প্রসঙ্গে নিজেরই নাম নেন বিশ্ব শর্মা। কংগ্রেস থেকে গেরুয়া শিবিরের যোগদানের পরও তাঁর উপর ভরসা করছে দল, উচ্চ পদে জায়গা দিয়েছে, প্রশংসায় পঞ্চমুখ হিমন্ত।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের হয়ে ভোটের প্রচারে নেমেছেন হিমন্ত। তিনসুকিয়া এবং ডিব্রুগড় জেলায় প্রচার ঝড়ে ব্য়স্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রী। প্রচার পর্বে বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে ভোলেননি। বলেন, 'বিরোধী নেতারা গঠনমূলক সমাধান না দিয়ে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে।' হিমন্তের কথায়, 'যখই ওরা মাইকের সামনে ভাষণ দেয়, তখনই আমাদের গালিগালাজ করতে শুর করে, যেন অসমে আর কোনও সমস্যা নেই। তবে আমি উন্নয়নের দিকে নজর দেব। যতবারই ওরা আমার সরকারের জন-বান্ধব প্রকল্পের জন্য আমার সমালোচনা করবে ততবারই আমি এই ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পগুলির জন্য বরাদ্দ আরও বাড়াব।'
উল্লেখ্য়, প্রদ্যুৎ নওগাঁও থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে বরদলইকে। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেন তিনি। মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পর্বে তাঁর সঙ্গ দেন ভূপেনও। ওই দিন ভগবত গীতার একটি শ্লোক উল্লেখ অসম সরকার সহ হিমন্তকে নিশনা করে তাঁর মন্তব্য, 'কিছুই স্থায়ী নয়। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন যে ওঁর পদ বোধহয় স্থায়ী। মনে রাখা উচিত যে কোনও না কোনও দিন ওঁর চেয়ার কেড়ে নেওয়া হবে। অন্য কেউ সেই জায়গা দখল করবে। হয়তো দেখা যাবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী বদল হল।'