• ‘মতুয়ারা বুঝেছেন বিজেপি বিশ্বাসঘাকতা করছে’, জয় নিয়ে আশাবাদী বিশ্বজিৎ
    এই সময় | ০৬ এপ্রিল ২০২৪
  • সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়ার পর কোন দিকে যাবে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের জনসমর্থন? কাঁটাছেড়া করছে তৃণমূল - বিজেপি যুযুধান দুই শিবির। তবে, এটি আদতে এনআরসির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, এই আইন নিয়ে বিজেপি ‘বিশ্বাসঘাকতা’ করছে বলে দাবি করলেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস।বর্তমানে বারুণী মেলা চলছে। ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির কামনা পুকুরে স্নানের জন্য হাজির হয়েছেন হাজার হাজার ভক্ত। সেই অনুষ্ঠানে এদিন যোগ দিয়েছিলেন বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। সেখানেই তিনি বলেন, ‘আমাদের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষভাবে বলেছেন যে, তিনি পশ্চিমবঙ্গে সিএএ আইন প্রণয়ন করতে দেবেন না। কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পেও যেতে হবে না। মতুয়ারা বুঝতে পেরেছে যে বিজেপি তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’

    তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, আগামী লোকসভা নির্বাচনে মতুয়ারা তাঁদের উত্তর দেবেন। তাঁর কথায়, ‘মতুয়ারা অবশ্যই আমাকে ভোট দেবেন এবং সংসদে পাঠাবেন।’ সিএএ নিয়ে মতুয়াদের মোহভঙ্গের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিশ্বজিৎ দাস জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।

    'সিএএ-র জন্য সবাই খুশি' উৎসবে মাতল মতুয়া সমাজ

    বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস শনিবার ঠাকুরনগরের বাংলার অধিকার যাত্রার সময় ঠাকুরবাড়ির শ্রীধামে ইচ্ছে পুকুরের বিশুদ্ধ জলে পবিত্র ডুব দিয়েছিলেন। শত শত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকও উৎসাহের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এদিনের অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষজনের সঙ্গেও কথাবার্তা বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।

    এরপরে তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস রাজ্যসভার সাংসদ ঠাকুরবাড়ির গৃহবধূ মমতা বালা ঠাকুরের সঙ্গে মতুয়াদের একটি ধর্মীয় সভায় যোগ দেন। যেখানে তাঁকে ঢোল বাজাতে দেখা যায় এবং মমতা বালা ঠাকুর সহ অন্যরা গানের সুর ধরেন। বিপুল সংখ্যক ভক্তদের মধ্যে প্রসাদও বিতরণ করা হয়। এমন একটি দুর্দান্ত অনুষ্ঠানের পরে দলের কর্মী এবং মতুয়ারা উদ্দীপিত হয়ে ওঠে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

    অন্যদিকে, আজকের দিনে ‘আমি কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করবো না’ বলে জানান বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে স্নান করতে হাজির ছিলেন তিনিও। বারুণী মেলাকে ঘিরে লক্ষাধিক মানুষ এই পুকুরে স্নান করলেও, কামনা সাগরের জলে আছে বিশেষ মাহাত্ম্য এমনটাই দাবি মতুয়া ভক্তদের। প্রতিবছরই নির্দিষ্ট সময় মেনে এই পুকুরে পুন্যস্নানে করতে মতুয়া ভক্তদের ঢল নামতে দেখা যায়। ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি এলাকা পাশস্থ্য হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে দলবদ্ধ হয়ে মতুয়ারা ডঙ্কা, কাশি, নিশান নিয়ে প্রদক্ষিন করে ডুব দেন কামনা সাগরের জলে।
  • Link to this news (এই সময়)