২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন, ফের ক্ষমতায় এলে বাংলার মেয়েদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করবেন তিনি। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর সেই কথা রাখেন তিনি। প্রথমে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ হিসেবে উপভোক্তাদের মাসে ৫০০ এবং হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছিল। জেনারেল মহিলারা পেতেন ৫০০ এবং SC-ST মহিলারা পেতেন ১০০০ টাকা।চলতি অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘোষণা করেন, যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ৫০০ টাকা করে পেতেন তাঁরা ১০০০ টাকা করে পাবেন এবং যাঁরা ১০০০ টাকা করে পেতেন তাঁরা ১২০০ করে পাবেন। এই মাস থেকেই সেই বর্ধিত অর্থ উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকা শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই খুশি বাংলার 'লক্ষ্মীরা'।
এই বর্ধিত অর্থ পেয়ে মহিষাদলের মধুবনী রায় বলেন, 'আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১,০০০ টাকা ঢুকেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই আমি এই টাকা পেয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। আগে ৫০০ টাকা করে পেতাম। এপ্রিল মাসে ১০০০ টাকা পাওয়ায় খুব ভালো লাগছে।'
অন্যদিকে, সুতাহাটার বাসিন্দা করবী দাস বলেন, ‘আজ ঘুম থেকে ওঠার পরই আমার মোবাইলে মেসেজ ঢুকেছে। আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১,০০০ টাকা ঢুকেছে। দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা বেড়ে গিয়েছে।'
নন্দকুমারের বাসিন্দা আর এক মহিলার গলাতেও একই সুর শোনা যায়। তিনি বলেন, 'আগে আমি ৫০০ টাকা পেতাম। কিন্তু, আজ আমি ১,০০০ টাকা পেয়েছি। আমি প্রতিমাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাই। কোনও মাসেই এই টাকা পেতে সমস্যা হয়নি।'
প্রতিশ্রুতি পালন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার জন্য বিস্তর উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের মধ্যে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য বাজেট পেশের সময়েই এই টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এখনও পর্যন্ত ২.১২ কোটিরও বেশি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা লাভ করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন ৬০ বছর পর সরাসরি তাঁরা বার্ধক্য ভাতা পাবেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের বর্ধিত টাকা সমস্ত উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে নির্ধারিত সময়ে জমা পড়বে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্য়ের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।