শুক্রবার ইস্তেহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কংগ্রেসের ইস্তেহার নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তুমুল সমালোচনা করলেন প্রধান বিরোধী দলের ইস্তেহারের। কংগ্রেসের ইস্তেহারে 'মুসলিম লিগের ভাবনার ছাপ' রয়েছে উল্লেখ করলেন নমো।শনিবার উত্তর প্রদেশেরর সাহারানপুরে এক জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেই জনসভা থেকেই ইস্তেহার নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দেন মোদী। বলেন, 'স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মুসলিম লিগের যে ভাবনা ছিল, সেই রকমই ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তেহারে। কংগ্রেসের ইস্তেহারে সম্পূর্ণ ভাবে ছাপ রয়েছে মুসলিম লিগের চিন্তাধারার।'
শুক্রবার ইস্তেহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গের নির্বাচনী ইস্তেহার নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। বিজেপির তরফে ধেয়ে এসেছে সমালোচনার বন্যা। কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রসঙ্গে শনিবার সুর চড়ান মোদী। সাহারানপুরের জনসভা থেকে কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, 'কংগ্রেস যে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তাতে এটাই প্রমাণ হয় বর্তমান ভারতের আশা-আকাঙ্খার কংগ্রেস সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।' এরপরেই তিনি আক্রমণ শানান, 'মুসলিম লিগের ভাবনার প্রতিচ্ছবি কংগ্রেসের ইস্তেহারে স্পষ্ট।'
মোদীর সংযোজন, 'মুসলিম লিগের ভাবনায় পুষ্ট কংগ্রেসের ইস্তেহার। কংগ্রেসের ইস্তেহারে সম্পূর্ণভাবে বামপন্থী ভাবনার প্রভাব রয়েছে।' রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীর সমালোচনা করেন মোদী। বলেন, 'দূর-দূরান্ত পর্যন্ত কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কংগ্রেসকে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না কংগ্রেস। এখন যে কংগ্রেস পড়ে রয়েছে, তার কাছে দেশের উপকারে কোনও নীতিও নেই, রাষ্ট্রনির্মাণের ভাবনা নেই।'
কংগ্রেসের ইস্তেহার নিয়ে মোদীর পাশাপাশি বিজেপিও তোপ দাগতে ছাড়েনি। তাদের দাবি, 'এটা কংগ্রেসের ইস্তেহার নাকি রাহুল গান্ধীর বিদেশ সফরের আইটেনারি?’ উল্লেখ্য, ইস্তেহারে চাষজমি ছবিতে থাইল্যান্ডের জমি ও নিউ ইয়র্কের বাফেলো রিভারের ছবি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপির। উল্লেখ্য়, কেরালায় ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপির পাশাপাশি বামপন্থীরাও আক্রমণ করেছে কংগ্রেসকে। কিছুদিন আগেই বিদেশের মাটিতে এক অনুষ্ঠানে মুসলিম লিগকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করেছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু বুধবার তিনি যখন ওয়ানাডের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে যান, তখন মিছিলে মুসলিম লিগের পতাকা দেখা যায়নি। পতাকার বিষয়ে কংগ্রেসের অবস্থান দেখিয়ে দিচ্ছে, তারা ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের ভোট চায়, কিন্তু তাদের পতাকাকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ।