এই সময়: লোকসভা ভোটে খারাপ ফল হলে তার দায় নিতে হবে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। খেসারত হিসেবে পদ খোয়াতে হবে তাঁদেরও। শুক্রবার মালদায় লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠকে এমনই কড়া বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের আগে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করতে এদিন মালদা শহরের উপকণ্ঠে একটি রিসর্টে দলের বিধায়ক এবং নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রায় তিনঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি।সেখানেই দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনও বুথ বা অঞ্চলে ফল খারাপ হলে সেই বুথ সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান, অঞ্চল সভাপতি এবং ব্লক নেতৃত্বের উপর তার দায় বর্তাবে। দলে আর তাঁদের প্রয়োজন হবে না।’
মালদহ জেলার দু’টি আসনেই একক ভাবে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভা ভোটে এই জেলা থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল দলকে। যদিও ২০২১-র বিধানসভা ভোটে এই জেলায় ভালই ফল করেছিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত এবং পুরসভা ভোটেও সিংহভাগ আসন তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও এই জেলা নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তায় রয়েছে শাসক দল।
প্রয়াত কংগ্রেস নেতা গণিখান চৌধুরীর খালতালুক বলে পরিচিত মালদায় তৃণমূলের সংগঠন কিছুটা হলেও নড়বড়ে। তার অন্যতম বড় কারণ হল, দলের গোষ্ঠীকোন্দল। সেই দুর্বলতা কাটিয়ে দলের সমস্ত স্তরের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে লোকসভা ভোটের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছেন অভিষেক।
লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে তিনি এদিন প্রথমে দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে অভিষেক বলেন, ‘গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদায় দলের ভালো ফল হয়েছিল। আপনারা সেই ভোটে মরণপণ লড়াই করেছিলেন। তার ফল পেয়েছেন। এই ভোটেও সমান গুরুত্ব দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।’
এর পর দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। সেখানে জেলা এবং ব্লক স্তরের নেতারাও হাজির ছিলেন। সেই বৈঠকে অভিষেক জানান, জেলায় প্রচুর কাজ হয়েছে। রাজ্য সরকারের উন্নয়ন নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাতে হবে। তার ছবি তুলে দলীয় নেতৃত্বের কাছে নিয়মিত পাঠাতে হবে।
বৈঠক শেষে অভিষেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এদিনের বৈঠকে জেলার প্রতিটি ব্লকে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ব্লক ধরে ধরে কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, সেটা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। গতবার আমরা মালদায় একটাও আসন পাইনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কাজের নিরিখে আমরা আশা করছি, এবার দু’টি আসনই পাব।’