• এআই প্রযুক্তির সাহায্যে ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায় চীন ও উত্তর কোরিয়া
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৭ এপ্রিল ২০২৪
  • দিল্লি, ৬ এপ্রিল: কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে হাতিয়ার করে যখন ভোট বৈতরণী পেরোতে চাইছে নির্বাচন কমিশন, ঠিক সেই সময়ে এই প্রযুক্তির প্রয়োগের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা নিয়ে উঠে গেল একাধিক প্রশ্ন। বিশ্বমঞ্চে এই প্রশ্ন তুলে দিল মাইক্রোসফট। একটি রিপোর্টে মাইক্রোসফট দাবি করেছে, এআই প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে চীন। চাঞ্চল্যকর এই রিপোর্টের পর তোলপাড় পড়ে গিয়েছে ভারতের রাজনীতিতে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলেও নানা প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এই প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিয়ে। বিশেষ করে বর্তমানে ভারতের লোকসভা নির্বাচন ছাড়াও সামনে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার নির্বাচন।
    প্রসঙ্গত আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্বের ৬৪টি দেশে সাধারণ নির্বাচন। মোট ৪৯ শতাংশ মানুষ এই নির্বাচনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এগুলির মধ্যে বহু ভোটকে প্রভাবিত করতে পারে চীন। এআই নির্মিত কন্টেন্টগুলি চীনের স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যেই তৈরি করে ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। যাতে জনতার মতামত চীনের সুবিধাজনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যায়।
    মাইক্রোসফটের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চিনা সরকারের মতদপুষ্ট হ্যাকাররা উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের সঙ্গে মিলে ২০২৪ সালে একাধিক দেশের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়। এইসব দেশের ভোটকে প্রভাবিত করতে বেজিং ইতিমধ্যেই নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার শত্রু দেশ উত্তর কোরিয়ার প্রযুক্তিবিদরাও এই এআই সন্ত্রাসের সঙ্গে সহযোগিতা করতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে। এমনকি পরীক্ষামূলকভাবে এর ব্যবহারও শুরু করে দিয়েছে জি জিংপিং-এর দেশ।
    যদিও ভারতের নির্বাচন কমিশন এই প্রযুক্তিকে শুধুমাত্র নির্বাচনে সন্ত্রাস দমন ও হিংসা রোধে নজরদারি বাড়াতে ব্যবহার করছে বলে জানা গিয়েছে। তা সত্ত্বেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, চীন ও উত্তর কোরিয়ার প্রযুক্তিবিদদের দ্বারা নির্মীত কন্টেন্ট ছাড়া হবে ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে। যাতে নির্বাচনে মানুষের মতামতকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যা তাইওয়ানের প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে এর ব্যবহার করা হয়েছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)