দিঘা এবার 'নো হকার্স জোন'! ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান প্রশাসনের
এই সময় | ০৭ এপ্রিল ২০২৪
পর্যটকদের সুবিধার্থে দিঘায় বড় পদক্ষেপ দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের (DSDA)। সি বিচের ধারে ও রাস্তায় কার্যত পর্যটকদের পথ আটকে বসে থাকা দোকানগুলিকে উচ্ছেদ DSDA-র। আগেই মাইকিং করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল গোটা সমুদ্র শহরজুড়ে। সি বিচ রোডের ধারেই যত্রতত্র পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সরকারি নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রাস্তা ও সমুদ্র সৈকত দখল করে বসেছিলেন তাঁরা। যার জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল দিঘায় আসা পর্যটকদের।'নো হকার্স জোন' তৈরির পরিকল্পনাপ্রসঙ্গত, উচ্ছেদ অভিযান আগেও হয়েছে একাধিকবার। তবুও দিঘার সৈকতে মেটেনি হকার সমস্যা। তাই, এই বছর পর্যটনের মরশুমে গোটা দিঘাকে 'নো হকার্স জ়োন' হিসাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এক্ষেত্রে শুধু সমুদ্র সৈকতের পাশেই নয়, ওল্ড দিঘা এবং নিউ দিঘায় ১১৬ বি জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত রাস্তার পাশে থাকা হকারদেরও পসরা সাজিয়ে আর বসতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিএসডিএ কর্তৃপক্ষ। যে সমস্ত দোকানদারের স্টল পেয়েছেন, তাঁরা নির্দিষ্ট স্থলের বাইরে রাস্তাতেও বসে যাচ্ছেন। যার দেরে রীতিমত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের।
দিঘায় বেআইনি হােটেল উচ্ছেদ! জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ!
এই বিষয়ে কাঁথির এসডিও তথা দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, 'পর্যটনের মরসুমে কোনও হকারদের বেআইনিভাবে বসতে দেওয়া হবে না। আর যদি তাঁরা বসেন তাহলেও ওল্ড এবং নিউ দিঘাজুড়ে চলবে হকার উচ্ছেদ অভিযান।'
'যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে'
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে হকার সমস্যায় জর্জরিত সৈকত শহর। সৈকত জুড়ে দিনভর হকারদের দাপটে যাতায়াতের পথে সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটকদের। বেশ কয়েকবার প্রশাসনিকভাবে অভিযান চালিয়ে হকারদের সরিয়েও দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন স্টলও দেওয়া হয়েছে। তবে তারপরেও সৈকতের পাশ দিয়ে গজিয়ে উঠেছে সারিসারি হকারদের পসরা। গত বছর বড়দিনের আগে এই হকার সমস্যা মেটাতে আন্দোলনে নেমেছিলেন স্থায়ী দোকানদারেরা। তা নিয়ে ধুন্ধুমার বেঁধে গিয়েছিল সৈকতে। যাতে এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে কারণে আগেভাগেই ডিএসডিএ-র এই উদ্যোগ বলেই দাবি প্রশাসনের। এই প্রসঙ্গে বাসি সামন্ত নামে এক স্থায়ী ব্যবসায়ী বলেন, 'যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে। হাঁটাচলার অসুবিধা তো হতই, একইসঙ্গে হকারদের জন্য দোকানে ক্রেতারা আসতেন না।'
এদিকে ব্যস্ত জীবনে কিছুটা স্বাদবদলের জন্য সারাবছরই দিঘায় ছুটে যায় পর্যটকরা। কিন্তু হকারদের ভিড়ে বিগত কয়েক বছরে সেখানকার পরিবেশও হয়ে উঠেছে কার্যত ঘিঞ্জি। সেই কারণে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পর্যটকরাও।