'তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... BJP-NIA আতাঁত!' অভিযোগ তুলে সরব অভিষেক
এই সময় | ০৭ এপ্রিল ২০২৪
ভোটের আগে ভূপতিনগরে NIA অভিযান নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনৈতিক মহল। তদন্তের জন্য সেখানে গিয়ে 'আক্রান্ত' হন NIA আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই স্থানীয় নেতাকে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁরা এদিন দাবি করেন, এক NIA আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন BJP নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে করা পোস্ট পুনরায় শেয়ার করে এই প্রসঙ্গে সুর চড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে করা পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, 'আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকার মধ্যেই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।এই যোগসাজক জারি থাকলেও নির্বাচন কমিশন অদ্ভূত রকমভাবে চুপ। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা করার ক্ষেত্রে তারা নিজেদের দায়িত্বে অবহেলা করছে।'
শনিবার ভূপতিনগরের ঘটনায় NIA দুই স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে। আর এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গেই 'ষড়যন্ত্র'-এর দাবিতে পালটা সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। রবিবার তৃণমূল ভবন থেকে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, গত ২৬ মার্চ জিতেন্দ্র তিওয়ারি দেখা করেন এক NIA আধিকারিকের সঙ্গে। কোনও অফিসে এই সাক্ষাৎকার হয়নি। বরং হয়েছিল ওই আধিকারিকের লিজ নেওয়া বাড়িতে। এদিন নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে বেশ কিছু নথিও বেশ করেন কুণাল ঘোষ। যদি এক্ষেত্রে জিতেন্দ্র তিওয়ারি অভিযোগ অস্বীকার করতে চান সেক্ষেত্রে ভিডিয়ো প্রকাশ করার কথাও বলেন কুণাল ঘোষ।
পাশাপাশি একটি সাদা প্যাকেট প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন তিনি। এই দুই জনের মধ্যে বিনিময় হওয়া সাদা প্যাকেটে কী ছিল! সেই প্রসঙ্গ তুলে কুণাল ঘোষ তদন্তের দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই দুই জনের ফোনের লোকেশন এবং যে সময় তাঁরা সাক্ষাৎ করেছিলেন তখন কাদের ফোন করেন সেই তথ্য খতিয়ে দেখা হোক।’
সবমিলিয়ে রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনে যখন আর খুব বেশিদিন বাকি নেই, সেই সময় এই অভিযোগ ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য BJP-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভূপতিনগরের ঘটনা ঘটেছে ২০২২ সালে। যে অভিযোগ কুণাল ঘোষ তুলছেন তার অনেক আগে ভূপতিনগরের ঘটনা ঘটেছে। আদালতের নির্দেশে হচ্ছে তদন্ত। সত্যকে কোনওদিন দমিয়ে রাখা যায় না।’