• ধর্ষণে অভিযুক্তের নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার দায়িত্ব নেই: সুপ্রিম কোর্ট
    এই সময় | ০৭ এপ্রিল ২০২৪
  • ধর্ষণ সংক্রান্ত একটি মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, 'আইন অনুযায়ী না হলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা অভিযুক্তের দায়িত্ব নয়। যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণ করার বিষয়টি সম্পূর্ণ আইনের ধারার উপর নির্ভরশীল। বিচারপতি এ. এস. ওকার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ধর্ষণ মামলার আসামিদের নির্দোষ বলে এই মন্তব্য করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কোনও মামলায় আইনি বিধান যদি এমন হয় তাহলে আলাদা কথা। একটি ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তকে হাইকোর্টে দোষী সাব্যস্ত করে। যার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।

    আদালত বলেছে, 'এই ক্ষেত্রে ১১৪ এ ধারা প্রযোজ্য নয়। আদালত বলেছে, মেয়েটি যে নিজের ইচ্ছায় অভিযুক্তের সঙ্গে গেস্ট হাউসে গিয়েছিল তা প্রকাশ্যে এসেছে। গেস্ট হাউসের মালিক জানান, অভিযুক্ত ও মহিলা একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছিল। হোয়াটসঅ্যাপে দু'জনের মধ্যে প্রায় ৪০০টি বার্তা স্থানান্তরিত হয়েছে। ঘটনার পরও দু'জনের যোগাযোগ ছিল। দু'জনেই গেস্ট হাউস থেকে বের হয়ে গেলেও মেয়েটি কোনও আওয়াজ করেনি। সব তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের নির্দোষ বলে উল্লেখ করেছে আদালত।

    দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত নির্দোষ

    সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, নির্দোষ বলে বিবেচনা করা প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার। আইনগত নীতি ও সাংবিধানিক ব্যবস্থা অনুযায়ী প্রত্যেক আসামি দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ। মামলা প্রমাণের দায়িত্ব প্রসিকিউশনের ওপর। বর্তমান মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় এই নীতিকে আরও শক্তিশালী করে। সংবিধানে আরও বলা হয়েছে, কাউকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না। প্রতিটি মানুষের নীরব থাকার অধিকার আছে। সংবিধানের ২০ (৩) অনুচ্ছেদে একজন নাগরিকের এই অধিকার রয়েছে। নারকো টেস্ট বা অন্য কোনও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাও এই আওতার মধ্যে ছিল।

    উল্লেখ্য, অপর একটি মামলায়, বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্মতিসূচক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ টেকে না বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের রায় খারিজ করে বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ এক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে। সু্প্রিম কোর্ট বলেছে, সম্পর্কে থাকাকালীনই তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল বলে মহিলা প্রমাণ করতে পারেননি। সে ক্ষেত্রে বিয়ের ভুয়ো প্রতিশ্রুতির প্রশ্ন উঠছে না। মামলাটি ২০২০ সালের। মধ্যপ্রদেশের সাতনা মহিলা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন এক মহিলা।
  • Link to this news (এই সময়)