নাগাড়ে বৃষ্টিতে ভাঙল সেতু, গ্যাংটক থেকে লাচুং-লাচেন যাওয়ার পথে বিপত্তি
এই সময় | ০৭ এপ্রিল ২০২৪
প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে একের পর এক বিপত্তি সিকিমে। ক্ষতিগ্রস্ত হল টুং ব্রিজ। গ্যাংটক থেকে লাচেন কিংবা লাচুং যাওয়ার জন্য এই সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। নাগাড়ে চলা বৃষ্টিপাতের জেরে ব্যাপকভাবে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। ফলে গ্যাংটক থেকে লাচুং কিংবা লাচেনে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়া পর্যটকরা বিপাকে পড়বেন বলেই অনুমান।বৃষ্টিতে ভাঙল টুং ব্রিজশনিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই টুং ব্রিজ। এর জেরে দীর্ঘক্ষণ গ্যাংটক থেকে লাচেন-লাচুং যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, লাচেন মঙ্গন কেন্দ্রের SKM প্রার্থী সমদুপ লেপচার উদ্যোগে দলের যুবরা চার ঘণ্টার মধ্যে একটি বিকল্প ব্রিজ যাতায়াতের উপযোগী করে তোলে। লাচেন মঙ্গন এলাকার বাসিন্দাদের এই প্রচেষ্টায় এখন বিকল্প সেতু দিয়ে গাড়িগুলি গ্যাংটক থেকে পর্যটকদের লাচেন-লাচুংয়ে নিয়ে যেতে পারছে। তবে মেরামতি শুরু হয়েচে টুং ব্রিজেও। সেটিও খুব দ্রুত গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিপাকে পর্যটকরাগত কয়েকদিন ধরেই উত্তর পূর্ব ভারতের একাধিক অংশে নাগাড়ে বৃষ্টি এবং তুষারপাত চলছে। সেই তালিকায় রয়েছে সিকিমের একাধিক এলাকা। পাহাড়ি এলাকায় ভারী তুষারপাত হচ্ছে। একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। ব্যাহত হয়েছে গাড়ি চলাচল। এই সময় বেড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে পর্যটকরা। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সাইট সিইংয়ে বেরিয়ে প্রায়দিনই দুর্যোগের কবলে পড়ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। গ্যাংটক থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ লাচুং, লাচেনে বেড়াতে যান। অফবিট জায়গাগুলির মধ্যে সিকিমের এই দুই পর্যটন স্পট ট্যুরিস্টদের অতি পছন্দের। ফলে সেতু বিপর্যের জেরে সেখানে যেতে না পারায় আক্ষেপ পর্যটকদের।
ফের ধস সিকিমেশনিবারই ফের ধস নামে সিকিমে। নর্থ সিকিমে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চুংথাং থেকে মঙ্গন পর্যন্ত রাস্তায় এই বিপত্তি ঘটে। এর জেরে টুং নাগা রাস্তা প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। জানা যায়, ধস নামে মূলত থেং টানেলের কাছে। ফলে এই অংশের সমস্ত পথই আটকে গিয়েছে। নর্থ সিকিমের এই অংশে যাওয়ার জন্য যে সমস্ত পর্যটকরা বেরিয়েছিলেন, তাদের প্রত্যেকেরই গাড়ি আটকে পড়ে। এ যেন ঠিক গত অক্টোবরের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে সিকিমে। ভয়াবহ ধস এবং প্রবল দুর্যোগের জেরে দীর্ঘদিন উত্তর সিকিমের পর্যটন ব্যাহত হয়। কয়েকমাস কাটতে না কাটতেই ফের প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেরবার হচ্ছে সিকিমে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা।