• 'মধ্যরাতে মহিলারা ঘুমাচ্ছে, চলে গেল এনআইএ, আবার মা-বোনেদের নামেই ডাইরি করেছে'
    ২৪ ঘন্টা | ০৭ এপ্রিল ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দলের পাশাপাশি এবার এনআইএর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রীও। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির সঙ্গে এনআইএর যোগসাজসের অভিযোগ তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর পুরুলিয়ার সভা থেকে একেবারে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অলআউট আক্রমণে গেলেন তৃণমূল নেত্রী।

    রবিবার পুরুলিয়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরুলিয়ার মানুষের প্রধান সমস্যা এখনও পানীয় জল। আগামী এক দেড় বছরের মধ্য কিছু করতে। জাইকা প্রজেক্টটার দেরি করেছে। ওটা জাপানের একটা সংস্থা। আন্তর্জাতিক সংস্থা বলে বাতিলও করে দিতে পারছি না। এবার আমরা করছি ঘর ঘর মে পানি। এটা মোদীজির গ্যারান্টি নয় বাংলা সরকারের গ্যারান্টি। ইতিমধ্যেই জল অনেক জায়গায় পৌঁছে দিয়েছি। বাকীটাও পৌঁছে দেব। টাকা দেব আমরা, রক্ষণাবেক্ষণ করব আমরা আর তোমরা প্রচার করবে? আর মানুষ যখন প্রতিবাদ করবে তখন ওরা এনআইএকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। মধ্যরাতে মহিলারা বাড়িতে ঘুমাচ্ছে, পুলিসকে না জানিয়ে চলে গেল এনআইএ। সিভিল ড্রেস পর অনেক বদমাস লোক সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে অনেক বদমায়শিও করেছে। মায়েরা কীভাবে বুঝবে বাইরে থেকে কেই যদি হামলা করতে আসে? মা বোনেরা প্রতিবাদ করল। তাদের বিরুদ্ধে ডাইরি করে দিয়েছে।বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, বলছে তৃণমূলের সব বুথ এজেন্টদের অ্যারেস্ট করো। আবার রাম নবমী আসছে, একটা চকলেট বোমা পড়লেও দেখবেন ওই এনআইএকে ঢুকিয়ে দেবে। কী অধিকার আছে এনআইএর?এখানে হোটেলে হোটেলে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছে কোন পার্টির কে কে থাকছে। তাতে তোমার কী? এটা কি তোমার কাজ? পার্টির লোকরা কি তোমার মাথায় থাকবে? ভোটের সময়ে তো আমরা সরকারের জায়গায় থাকি না। যে কপ্টারটা নিয়ে ঘুরি সেটাও পার্টির টাকায় ভাড়া করি। একদিকে এনআইএ আর একদিকে সিবিআই। বিজেপি ভাইভাই। বিজেপির টাকা তোলার বক্স। আমাদের আছে লক্ষ্মীরভান্ডার। ওদের আছে ইডির ভান্ডার। আমাদের আছে কৃষি ভান্ডার ওদের আছে ইডির ভান্ডার। ভয় দেখাচ্ছে। বলছে বিজেপি করো তাহলেই ছেড়ে দেব। দশের সব নেতাদের গ্রেফতার করছে। একটা স্বৌরাচারী সরকার , অত্যাচারী, অনাচারের সরকার। মোদীবাবু গ্যারান্টি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আপনার গ্যারান্টি মানে তো নোটবন্দি, আপনার গ্যরান্টি মানে তো সিবিআই। আপনার গ্যারান্টি মানে তো ইনকাম ট্যাক্স। এরা আবার বলছে দুর্নীতির কথা। ১৩৬ টা কমিটি পাঠিয়েছে দুর্নীতি ধরার জন্য। তদন্ত করে কী করলেন? ইউপিতেও তো দুর্নীতি হয়েছে। ৮৫ লাখ টাকা দুর্নীতি। কী করেছেন সেখানে?পুরুলিয়ায় শিল্পস্থাপন, পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে মমতা বলেন, রঘুনাথপুর-পুরুলিয়া, পানাগড়-রঘনাথপুর শিল্প করিডোর তৈরি হচ্ছে। এখানে ৭৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে শিল্প গড়ে উঠছে। এখানকার ছেলে মেয়েদের আর কাজের জন্য বাইরে যেতে হবে না। এক সময়ে অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে এলে থাকার কোনও জায়গা ছিল না।  এখন দেখুন কত হোটেল, রিসর্ট গড়ে উঠেছে। একসময়ে এখানে এলাকায় রক্ত ঝরত। পর্যটকরা আসত না। এখানে অনেক অবঙালি থাকেন। মনে রাখবেন বাঙালি অবাঙালি সবাই একসঙ্গে থাকেন। পুরুলিয়া জেলার জন্য জন্য অনেক করেছি। রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে আরামবাগ বিষ্ণপুর লাইন করে দিয়েছিলাম। এখানে মেডিক্যাল কলেজে, পুরুললিয়া সুপার স্পেশালিটা হালপাতালে গড়ে উঠছে। বহু মানুষ আসলছেন। বহু হোম স্টে তৈরি হয়েছে। আদিবাসীদের সম্পদ যেন কেড়ে না নেওয়া হয় তার ব্যবস্থা করেছি। এখানে যাদের মাটির বাড়ির রয়েছে তাদের বলতে চাই, মোদীবাবু গত ৩ বছর ধরে ঘর তৈরির টাকা দেয়নি। একশো দিনের টাকা দেয়নি। রাস্তার টাকা দেয়নি, একশো দিনের টাকা আমাদের সরকার দিয়েছে। ৫৯ লাখ জবকার্ড হোল্ডার দের টাকা আমরা দিয়েছি। ৫০ দিনের কাজ তো দেবই দরকারে ৬০ দিনের  কাজ দেবই। ঝড়ে জলপাইগুজিডেক ৫ হাজার মানুষের ঘরে ভেঙ্গে গিয়েছে। আমরা বাংলার বাড়ি করে দিতে চাই। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)