জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এনআইএ-বিজেপি আঁতাত নিয়ে বিস্ফোরক দাবি তৃণমূলের। রবিবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই অভিযোগই করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁরা দাবি করেছেন, ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ এবং বিজেপির ‘যোগসূত্র’ রয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে ২০২২ সালের পুরনো মামলার তদন্তে গিয়ে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয় বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এনআইএ-র এক এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের বাড়িতে ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় প্রায় ঘণ্টা খানেক ছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। একটি কাগজ দেখিয়ে সেই দাবি করেন তিনি।
কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন যে এনআইএ-র এসপি ধনরামকে তৃণমূল নেতাদের তালিকা দেন জিতেন্দ্র। একই সঙ্গে কুণাল ঘোষের দাবি একটি সাদা প্যাকেটও এনআইয়ের ওই অফিসারকে দেন বিজেপি নেতা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘আদর্শ আচরণবিধির মধ্যে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই যোগসাজশ অব্যাহত থাকলেও নির্বাচন কমিশন অদ্ভুত ভাবে নীরব। ভোট সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্বে অবহেলা করছে তারা’।অন্যদিকে এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের। শনিবার ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তের জন্য পৌঁছায় এনআইএ। দুই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাড়িতে তুলতেই এনআইএ-র গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ।শনিবার ভূপতিনগর থানায় হামলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। এর মাঝেই জানা গিয়েছে যে ভূপতিনগর থানায় এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে ধৃত তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানার পরিবার। এফআইআর দায়ের করে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিস।