রাজ্য সরকারি কর্মীদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, নয়া বিজ্ঞপ্তি অর্থ দফতরের
এই সময় | ০৭ এপ্রিল ২০২৪
রাজ্য সরকারি কর্মীদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফ নিয়ে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের অর্থ দফতর। সরকারি কর্মীরা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে বছরে পাঁচ লাখের বেশি টাকা জমা করতে পারবেন না, এই নির্দেশিকাতে এমনটাই স্পষ্ট জানানো হয়েছে।কেন এই সিদ্ধান্ত?
সূত্রের খবর, রাজ্যের সরকারি কর্মীরা মূল বেতন বা বেসিকের ৬ শতাংশ জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা করেন। এই অ্যাকাউন্টের সুদ অনেকটাই বেশি। বছরে এই অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা করতে পারেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু, দেখা যাচ্ছিল এই নির্ধারিত অঙ্কের বেশি অর্থ সেখানে জমা পড়ছিল।
জিপিএফ অ্যাকাউন্টে সুদের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। সরকারি সূত্রে খবর, কোনও কর্মরত সরকারি আধিকারিক যদি জিপিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা রাখেন সেক্ষেত্রে তাঁকে ৮ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়। সাধারণ ব্যাঙ্কে যে সুদ পাওয়া সম্ভব তার থেকে এই সুদের পরিমাণ অনেকাংশেই বেশি বলে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, যেহেতু এই সুদের পরিমাণ সাধারণ ব্যাঙ্কের থেকে অনেকটাই বেশি সেই কারণে জিপিএফ-এ টাকা রাখছেন বহু সরকারি কর্মীরা। সরকারকে যাতে কোনও অতিরিক্ত সুদ গুণতে না হয় সেই কারণে এবার উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত। এবার থেকে কোনও সরকারি কর্মী নিজের জিপিএফ অ্যাকাউন্টে পাঁচ লাখ টাকার বেশি রাখতে পারবেন না।
এই প্রসঙ্গে কী মতামত সরকারি কর্মীদের?
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। তাঁদের কথায়, 'যাতে কোনও বাড়তি সুদ সরকারকে গুণতে না হয় সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কার্যকর হতে চলেছে। সরকারি কর্মীদের দিকটিও এক্ষেত্রে ভাবা হয়েছে। অন্যদিকে, কোথাও গিয়ে যাতে ভারসাম্য বজায় থাকে সেই বিষয়টির দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।'
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, 'যে বাড়তি আয় জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা হচ্ছে তা আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যবিহীন। কিন্তু, সরকারকে তার জন্য গুণতে হচ্ছিল সুদ। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে তা আর হবে না। এই বাড়তি সুদ গোনা বন্ধ হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।’
রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অধিকাংশই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দূরদর্শী, দাবি রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশের।