নেতাজিই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী? কঙ্গনার মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলল সুভাষচন্দ্রের পরিবার
এই সময় | ০৭ এপ্রিল ২০২৪
কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবার। 'দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কঙ্গনা রানাউত'। BJP প্রার্থীর এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এবার মুখ খুললেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসু।নেতাজির পরিবারের প্রতিক্রিয়াএক্স হ্যান্ডেলে চন্দ্র বসু লেখেন, 'রাজনৈতিক স্বার্থে কারওই ইতিহাস বদল করার অধিকার নেই। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে সৈনিক, দৃঢ়চেতা পুরুষ এবং দুরদর্শী। অবিভক্ত ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। নেতাজিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সকল ভারতীয়কে একজোট করে স্বাধীনতার লড়াইয়ে সামিল করিয়েছিলেন। যে বা যারা তাঁর আদর্শ মেনে চলেন, তাঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে।'
উল্লেখ্য, চন্দ্রকুমার বসু গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে BJP থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, দলের সঙ্গে নিজের আদর্শ মেলাতে পারছেন না। ভারত বনাম ইন্ডিয়া নাম নিয়ে বিতর্ক চলাকালীনই চন্দ্র বসু BJP ত্যাগ করেন।
এদিকে, হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কঙ্গনা রানাউত নেতাজি সম্পর্কে মন্তব্য করার পর নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একাধিক নেটিজেন তাঁকে নিয়ে ট্রোল করা শুরু করেছেন।
চন্দ্র বসু এই প্রসঙ্গে টাইমস অফ ইন্ডিয়া সংবাদপত্রকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, 'স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। এটাই ইতিহাস। কেউ সেটা বদল করতে পারবে না। অবিভক্ত ভারতের প্রথম এবং শেষ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুর থেকে যখন আজাদ হিন্দ সরকারের গঠন হয়েছিল। সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি। নেহরু এবং গান্ধীকে কাউন্টার করার জন্য নেতাজির নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। গান্ধী এবং নেহরুর সঙ্গেই কংগ্রেসে ছিলেন নেতাজি। দু'দশক ধরে একসঙ্গে রাজনীতি করেছেন তাঁরা। অবশ্যই নেহরু এবং নেতাজির রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা ছিল। তবে একে অপরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ছিল তাঁদের। যদি তা না থাকত তাহলে কেন আজাহ হিন্দ বাহিনীর ব্রিগেডগুলির নাম গান্ধী এবং নেহরু দিয়েছিলেন নেতাজি?'
ঠিক কী বলেছিলেন কঙ্গনা?একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে কঙ্গনা রানাউতকে বলতে শোনা যায়, 'দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আপনারাই বলুন তিনি কোথায় গেলেন?' নিজের বক্তব্যের সাফাই দিতে গিয়ে কঙ্গনা উল্লেখ করেছেন তাঁর লিখিত, পরিচালিত এবং অভিনীত এমারজেন্সি ছবির কথা। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন কঙ্গনা।