পারিবারিক জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে খুনের অভিযোগ উঠল। লাঠি এবং শাবল দিয়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার সামসিতে। রুহুল আমিন নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁর কাকা ও কাকার দুই ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, সামসি গ্রামীণ হাসপাতালের পিছনে রুহুল আমিনদের পারিবারিক একটি জমি রয়েছে। সেই জমি নিয়ে কাকা আবদুল রহমানের সঙ্গে রুহুলদের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। ওই জমিতে আবদুল রহমানরা বাড়ির কাজ শুরু করতে যায়। জায়গার মাপযোক নিয়ে সমস্যা হলে রুহুলরা তার প্রতিবাদ করেন। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত, যা ধীরে ধীরে গড়ায় মারমারিতে। সেই সময়ই রুহুল আমিনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে তাঁর কাকু এবং তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত রুহুল আমিনের পরিবারে রয়েছেন বাবা, মা , দুই ভাই, দুই বোন, স্ত্রী ও দুই কন্যা। ঘটনার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন দ্রুত রুহুল আমিন, তাঁর বাবা হবিবুর রহমান ও ভাই আলতাফ হোসেনকে সামসি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রুহুলকে পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম আবদুল রহমান ও তার স্ত্রী রাফিয়া বিবি এবং তাদের দুই ছেলে মোহাইমেন, কাবাতুল্লাহ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা পলাতক। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এর আগে গতবছর ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। বাড়ির খুব কাছেই উদ্ধার হয় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের দেহ। পরিবারের সূত্রে দাবি করা হয়, খুন করা হয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। সেই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকাজুড়ে। ওই যুবক সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করার পাশাপাশি অটোও চালাতেন। তার আগে গত বছর জুন মাসে ডাকাতি রুখতে গিয়ে মালদাতেই খুন হন সিভিক ভলান্টিয়ার।মালদার চাঁচলের মালতিপুর এলাকায় ঘটে ওই ঘটনাটি।