জলপাইগুড়িতে এসে বিকশিত ভারতের কথা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কণ্ঠে। তিনি প্রতি মুহূর্ত দেশের জন্য কাজ করছেন হলে দাবি করেছেন। এদিন মোদী বলেন, 'বিকশিত ভারতের লক্ষ্য পূরণের জন্য আমার সব সময় দেশের জন্য। আমি ২৪ ঘণ্টা ২০৪৭-এর জন্য কাজ করছি। এটা আমাদের সকলের সংকল্প। আমার বিশ্বাস আমরা সকলে মিলে বিকশিত ভারত অবশ্যই বানাব।'এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'গত ১০ বছরে NDA সরকার মা-বোনেদের জীবন উন্নত করেছে। যাঁদের কাছে গ্যাস ছিল না , শৌচালয় ছিল না তাঁদের মধ্যে এসসি-এসটিদের একটা বড় সংখ্যার জনতা ছিল। আপনারা আমাদের সুযোগ দেওয়ায় আমরা এসসি-এসটিদের উন্নয়নের জন্য যাবতীয় কাজ করেছি। তাঁদের বাড়ি পাকা করে দেওয়া, শৌচালয় তৈরির কাজ হয়েছে। আদিবাসী মন্ত্রকের বাজেটও বৃদ্ধি করা হয়েছে।' এদিন মোদী বলেন, 'রাজ্যে ED-র বাজেয়াপ্ত করা ৩০০০ কোটি টাকা গরিব মানুষদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।'
পাশাপাশি তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি। নিশানায় ছিল INDIA জোটও। উত্তরবঙ্গে ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'উত্তরবঙ্গে জি২০ সম্মেলন হচ্ছে। রেল যোগাযোগ যেমন বেড়েছে তেমন সড়ক তৈরি হয়েছে। কেন্দ্র মজবুত সরকার থাকলে উত্তরবঙ্গে বাণিজ্য বাড়বে।'
জলপাইগুড়ির ঝড়ে যে ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে সেই প্রসঙ্গও শোনা যায় মোদীর কণ্ঠে। তিনি বলেন, 'কিছুদিন আগে জলপাইগুড়িতে ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। আহতরা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন সেই কামনা করছি।'
এদিন মোদী বলেন, 'দশ বছরে যা উন্নয়ন হয়েছে তা ট্রেলার মাত্র'। এই লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে এসে নরেন্দ্র মোদীর কণ্ঠে একাধিকবার গ্যারান্টি প্রসঙ্গ শোনা গিয়েছে। ফের একবার এই নিয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছেন। নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'বাংলাতে সিন্ডিকেট রাজ চলছে। যাঁরা দুর্নীতি করছেন তাঁদের জেলে থাকতে হবে। এটাই মোদীর গ্যারান্টি।'
সবমিলিয়ে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের পাশাপাশি তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধীদের আক্রমণ করতে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদীকে। এর আগেও রাজ্যে এসে ৩০০০ কোটি টাকা নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছিলেন মোদী। তা নিয়ে পালটা সুর চড়িয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ফের একবার মোদীর কণ্ঠে ED-র বাজেয়াপ্ত করা ৩০০০ কোটি টাকার প্রসঙ্গ শোনা গেল। সঙ্গে ‘লুঠের টাকা’ গরিব মানুষের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও শোনা গেল মোদীর কণ্ঠে।