Antarctica Temperature : আন্টার্কটিকায় তাপমাত্রার বিশ্বরেকর্ড, ক্রমবর্ধমান উষ্ণতায় উদ্বেগ বিজ্ঞানীদের
এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
পৃথিবীর শীতলতম স্থান হিসেবে পরিচিত আন্টার্কটিকা। এই এলাকার ৯৯ শতাংশই বরফে ঢাকা। তবে সম্প্রতি বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য এই এলাকায় একের পর এক ভায়ঙ্কর প্রভাব লক্ষ্য করছেন বিজ্ঞানীরা।এবার সেই আন্টার্কটিতেই রেকর্ড করল তাপমাত্রার পারদ। পৃথিবীর শীতলতম অঞ্চল আন্টার্কটিকার এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার পারদ উদ্বেগে ফেলেছে বিজ্ঞানীদের। এমনিতেই পৃথিবীর তাপমাত্রা ও গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে ক্রমশ গলে যাচ্ছে পৃথিবীর উত্তর মেরুর বরফ। বর্ধিত উষ্ণতার ফলে পৃতিবীর ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। জলস্তর বেড়ে গিয়ে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে গেলে অনেক দেশ তলয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্ধিত তাপমাত্রার কারণে একদিনে ২০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বরফ গলেছে। এর থেকে ভয়াবহ কিছু হতে পারে না। ২০২২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চের মধ্যে সর্বাধিক তুষার গলে গিয়েছিল এবং চলতি বছর তবে ২০২৪ সালের তাপমাত্রা আগের রেকর্ডটিও ভেঙে দিতে পারে। যা পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক প্রমানিত হবে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের মতে, আন্টার্কটিকায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঘটনা এবং এর ফলে বরফ গলে যাওয়ার এই ঘটনা খুবই অদ্ভুত। এমন ঘটনায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনকেই এর জন্য দায়ী করছেন না। ১৯৭৯ সাল থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আন্টার্কটিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। গত ৪০ বছরের তথ্যের দিকে তাকালে দেখা যায়,
হিসেব ২০২২ সালে গ্রীষ্মের মরসুমে যে হারে দ্রুত বরফ গলে গিয়েছে, তার কারণ উষ্ণায়নের মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া। ২০২২ সালের ১৮ মার্চ সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। আবহাওয়া কেন্দ্রে সেটা রেকর্ডও করা হয়েছিল। সেইসময় তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সেইসময় এই রেকর্ড বিশ্বরেকর্ড করেছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আন্টার্কটিকার তাপমাত্রা যদি ৫০ ডিগ্রি ছাড়ায় তাহলে তা মানব জাতির জন্য খুবই মারাত্মক হবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, নিম্ন অক্ষাংশ থেকে উষ্ণ এবং আর্দ্র বাতাসের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ মেরুমুখী বায়ু দ্বারা আন্টার্কটিকার ভিতরে ঢুকছে। ফলে মহাদেশের চারপাশের সমুদ্রের বরফের স্তর অত্যন্ত সঙ্কুচিত হয়ে গেছে যা গত কয়েক শতাব্দী ধরে স্থিতিশীল ছিল। আর এতেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে বরফ গলার পরিমাণও। সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি দেশের জন্য তা হবে রীতিমতো আতঙ্কের কারণ।