এই চৈত্রে আর বসন্তের লেশমাত্র নেই। আছে দীর্ঘ দগ্ধ দিনযাপনের রক্তচোখ। বৈশাখ আসার আগেই গরমে প্রাণ অতিষ্ঠ দেশবাসীর। মৌসম ভবনের তরফে বলা হয়েছে এবছর রেকর্ড গরম দেখতে পারে ভারতের একাধিক রাজ্য। মার্চের শেষেই ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে পারদ। এই গরমেও অযোধ্যার রাম মন্দিরে উপচে পড়া ভিড়। দর্শনার্থীদের ঢল নামছে প্রতিদিনই। রামলালাকে একবার স্বচক্ষে দেখতে উন্মাদনার অন্ত নেই। ভগবান রামের শিশুরূপকে কল্পনা করে পূজিত হন রামলালা। কল্পনা হলেও সবটাই বাস্তবের মতো। এক শিশুর যত্নআত্তিতে যেমন কোনও রকম খামতি রাখা হয় না, রামলালার ক্ষেত্রেও ঠিক সেইরকমই। শিশুর মতোই পরম যত্নে তাঁকে পুজো করেন পূজারিরা। গরম লাগে রামলালারও! সেই কল্পনা থেকেই রামলালাকে গরম থেকে রক্ষা করতে গর্ভগৃহে কুলার বসানো হয়েছে কুলার। অযোধ্যার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি ছাপিয়ে গিয়েছে। শনিবার গর্ভগৃহে একটি কুলার বসানো হয়েছে। রামলালার প্রসাদে দেওয়া হচ্ছে মরশুমী ফল, রাবড়ি, দই।বিশ্বাস, বিগ্রহের অন্দরেই ঈশ্বরের বাস। সাধারণ মানুষের মধ্য়ে তাঁরও গরম লাগে, ঠান্ডা লাগে, ক্ষুধা, তৃষ্ণা সবই পায়। সেই বিশ্বাস থেকেই তাঁকে বিভিন্ন পুজো পদ্ধতিতে প্রসাদ, জল সবই নিবেদন করা হয়। রাম মন্দিরে পাঁচ বছরের বালক রূপে পূজিত হন রামলালা। শিশুর মতোই পরম যত্ন করা হয় তাঁরও। সবই চলে পুজোর মাধ্যমে। রামজন্মভূমির প্রধান আচার্য সতেন্দ্র দাস বলেন, 'ট্রাস্ট গর্ভগৃহে একটি কুলারের ব্যবস্থা করেছে। এসিও বসানো হবে শীঘ্রই। রবিবারের মধ্যে তারও ব্যবস্থা হয়ে যাবে।'
গরমেও রামলালার জন্য বিশেষ সাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এমনটাই জানানো হয়েছে শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের তরফে। রাম মন্দিরের তরফে বলা হয়েছে, গরমের দিনে রামলালাও যাতে আরামে থাকেন সেই কারণে তাঁকে সুতির জামা পরানো হচ্ছে। সুতির বস্ত্র পরানো হচ্ছে গরমের কথা মাথায় রেখে। রামলালার সেই বস্ত্র মূলত হ্যান্ডলুম কটনের মলমলের। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি ইন্ডিগো রং ব্যবহার করে এই সুতির বস্ত্র তৈরি করা হয়েছে। রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, 'যেভাবে গরম বাড়ছে অযোধ্যায় রামলালাও সেই গরমে অস্থির হয়ে উঠেছেন। তাই রামলালাকে সুতির কাপর পরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' তবে এবার গর্ভগৃহে বসানো হল কুলার। শীঘ্রই বসানো হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র। রামলালার যাতে গরমে কষ্ট না হয়, তাই এই সিদ্ধান্ত।