নির্বাচনে কাজে লাগবে, অধীরকে ১১ হাজার টাকা দান মহিলাদের
এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
জমির ফসল বিক্রি করে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর হাতে ১১ হাজার টাকা তুলে দিলেন ১১ জন প্রার্থী। ইতিমধ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার কংগ্রেসের হাতে টাকা তুলে দিলেন মহিলা কর্মীরা। রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে দূরে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির নবগ্রাম থেকে ১১ জন মহিলা কেউ জমির ফসল বিক্রি করে, কেউ ছাগল বিক্রি করে, কেউ স্বামীর রোজগারের টাকা থেকে মোট ১১ হাজার টাকা কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর হাতে তুলে দিলেন তাঁরা। ওই মহিলারা জানাচ্ছেন, এই টাকা লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর কাজে লাগবে।লোকসভা নির্বাচনে প্রচার সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজন জন প্রার্থীদের। এই বছর প্রত্যেক প্রার্থীকে খরচের জন্য ৯৫ লাখ টাকা ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত লোকসভা ভোটে প্রত্যেক প্রার্থীর প্রচারে খরচের ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু পাঁচ বছরের ব্যবধানে সেই খরচের ঊর্ধ্বসীমা এক লাফে ২৫ লাখ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই লোকসভা নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীর খরচ করতে পারবেন ৯৫ লাখ টাকা। সেক্ষেত্রে এই টাকা অধীরের কাজ লাগবে, এমনটাই আশা ওই মহিলাদের।
এদিকে ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ-র বিরুদ্ধে পালটা শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের ইস্যুতে এদিন মুখ খুলেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, 'দিদির নির্দেশে ফাঁসানোর কথা বলা হয়েছে, তাই করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে এটাই প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গের এটাই পুলিশ। এনআইএ যাদেরকে ধরেছে তারা কি কোনও মঠের সন্ন্যাসী না জনসেবক? কিন্তু যারা ধরতে গেল তাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা দেওয়া হল।' অধীর আরও বলেন, হামলা যারা করেছে, হামলাকারী যারা তারা দিদির দলের। তাদেরকে গ্রেফতার করবে কে? কার দুঃসাহস আছে বাংলাতে? যেমন শাহজাহান, উত্তম, শিবুদের ক্ষেত্রে পুলিশ ধানাই পানাই করছে।'
প্রসঙ্গত, শনিবার ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে যায় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। আর সেখানে অভিযানে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় এনআইএ-র কর্তাদের। এনআইএ-র আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয় বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দুই ব্যক্তি। ওই ২ জনকে গ্রেফতারের সময়ই স্থানীয়দের একাংশের বাধার মুখে পড়তে হয় এনআইএ-কে। ক্রমশ উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। আক্রান্ত হয় এনআইএ। ভাঙচুর চালান হয় গাড়িতে। ঘটনায় নতুন করে যাতে কোনও অশান্তির সৃষ্টি না হয় তার জন্য এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশি।