বিপদের গন্ধ! বিশ্বের সবচেয়ে হিমশীতল জায়গার তাপমাত্রা এক লাফে এতটা বাড়ল কেন'
২৪ ঘন্টা | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গ্লোবাল ওয়ার্মিং এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব থেকে বড় বিপদ। মাঝে মাঝেই কোনও না কোনও ঘটনায় সেটা বোঝা যায়। সম্প্রতি একটি ঘটনায় ফের উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিজ্ঞানীকুল। কী সেই ঘটনা?
কনকর্ডিয়া গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা ২০২২ সালের মার্চে দক্ষিণ মেরুর বরফঢাকা পূর্ব দিকের মালভূমিতে এক আশ্চর্য ঘটনা নজর করেন। বিজ্ঞানীরা সেখানে এক লাফে তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে যাওয়ার ঘটনা লিপিবদ্ধ করেন। তাঁরা লেখেন, এ যাবৎকালে বিশ্বের কোনো আবহাওয়াকেন্দ্রের নজরে এইরকম অদ্ভুত ঘটনা পড়েনি! বিজ্ঞানীরা দেখেন, সেই দিনটিতে অঞ্চলটির তাপমাত্রা গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি! যা এক বিশ্ব রেকর্ড! গবেষকেরা খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বের সবচেয়ে হিমশীতল জায়গায় তাপমাত্রার এই অবর্ণণীয় লাফ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাঁরা বিষয়টিকে বর্ণনা করার কোনও ভাষা খুঁজে পাননি। ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের বিজ্ঞানীদলের নেতা অধ্যাপক মাইকেল মেরেডিথ বলেন, বিষয়টি এককথায় মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো! মেরেডিথ বলেন, শূন্য অঙ্কের নীচে থাকা তাপমাত্রায় এত বড় উল্লম্ফন সাময়িক ভাবে হয়তো সহনীয়। কিন্তু এখন ব্রিটেনে তাপমাত্রা যদি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যায়, তবে বসন্তে সেটা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। সেটা মারাত্মক হবে! তখন?ব্রিটেনের 'এক্সেটার' বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমবাহবিজ্ঞানী অধ্যাপক মার্টিন সিগার্টঅধ্যাপক মাইকেল মেরেডিথ একই রকম বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি ব্রিটেনের 'অবজারভার' পত্রিকাকে বলেন, আমাদের কেউ ভাবেনি যে, এ রকম কিছু ঘটতে পারে। এটা সাধারণের সীমার বাইরের বিষয়, খুবই উদ্বেগের বিষয়! তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এখন এমন কিছুর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ নজিরবিহীন।'