ঘটনাটি ঠিক কী? গতকাল, শনিবার ছিল মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথি। ঠাকুরবাড়িতে 'দারুনি স্নানে' অংশ নেন মতুয়া ভক্তেরা। এরপর প্রথামাফিক গুরুচাঁদ ও হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে যান তাঁরা। প্রতিবছরের মতো মেলা বসেছে এবারও। এই মেলা চলবে সাতদিন।২০১৯ সালে প্রয়াত হন মতুয়াদের বড়মা বীণাপানি দেবী। ঠাকুরবাড়িতে যে ঘরে থাকতেন তিনি, সেই ঘর এখন মন্দির। রয়েছে বড়মা মূর্তি। ঘরটি অবশ্য় তালাবন্ধই থাকে। মমতাবালার অভিযোগ, সন্ধের পর শান্তনু ঠাকুরের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে বড়মার ঘরে ঢোকার চেষ্টা করেন একদল দুষ্কৃতী। এমনকী, শারীরিকভাবে হেনস্থাও করা হয় তাঁকে। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে তৃণমূল। গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মমতা বালা।কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'এই মতুয়াদের যে পরিবার, তাকে সবাই ঠাকুর পরিবার বলে এবং শ্রদ্ধার চোখে দেখে, এই পরিবারে মধ্যে নোংরা রাজনীতি ঢোকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। আমি যতদূর জানি, মতুয়াদের এই যে ধর্মগুরুদের পরিবার, এদের ক্ষেত্রে যে নিয়মটা মানা হয়, যে সঙ্ঘাধিপতি, সবসময় পুরুষ হওয়ার নিয়ম আছে। স্বাভাবিকভাবেই সঙ্ঘের দায়িত্ব শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর বাবা সুব্রত ঠাকুর পরম্পরাগতভাবে পেয়েছে। সেখানে ঘর দখল করে রাজনীতিকে ঢোকানো... ২ পরিবারের মধ্যে বিবাদ হতেই পারে। রাজনীতি থেকে দূরে থাকা উচিত'।তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, বড়মা বীণাপাণিদেবী মতুয়াদের কাছে আবেগ। তাঁর ঘরকে কেন্দ্রে যে নোংরা রাজনীতি শান্তনু ঠাকুর করলেন, ছবি ও ভিডিয়ো প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। কার্যত CRPF-কে সামনে দাঁড় করিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে, বড়মার ঘর, লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পবিত্র তীর্থস্থানের সামিল, সেই ঘরে রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে শান্তনু ঠাকুর! এখন বিজেপি বলছে এটা পরিবারের কোন্দল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, তার ব্য়ক্তিগত আচরণটা প্রশ্ন নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রহরায় এ কাজ করছে। মতুয়া সমাজকে অপমান করছেন'!