ঘটনাটি ঠিক কী? তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন,'পূর্ব মেদিনীপুর ও আরও বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে পর্যায়ক্রমে NIA তৃণমূল কর্মী, সংগঠকদের সরাতে চাইছে। তুলে আনা হবে। জের করা হবে। হেনস্থা করা হবে। গ্রেফতার করা হবে। সেই তালিকাটা বিজেপি নেতারা দিয়ে দিয়েছেন'। এরপর ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়লেন NIA আধিকারিকরা। কবে? শনিবার।এদিন কুণাল বলেন, 'বিজেপির ক্য়াডার হিসেবে NIA-কে ব্যবহার করেছে। বিজেপির নেতারা লিস্ট দিয়ে আসছেন, বৈঠক করছেন। ২৬ মার্চ, ২০২৪ NIA-র এসপি ধনরাম সিংয়ের কলকাতার বাড়িতে যান বিজেপির নেতৃত্ব। তাঁরা দেখিয়ে দেন, লিস্ট তুলে দেন কাদের গ্রেফতার করতে হবে। তল্লাশি করে, সেই জায়গায় আতঙ্ক ছড়িয়ে তৃণমূলের বুথকর্মী, নেতাদের আনবে'।এদিকে ভূপতিনগরকাণ্ডে বিবৃতি দিয়ে যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে NIA। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, 'যা অভিযোগ উঠেছে, সবই মিথ্যা। NIA-র ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে'।বিবৃতিতে উল্লেখ, 'হাইকোর্টের নির্দেশে ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্ত করছে NIA। আইন মেনেই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। শনিবার নাড়ুয়াবিলা গ্রামে গিয়ে বিনা প্ররোচনায়, অপ্রত্যাশিতভাবে হামলার মুখে পড়েন সংস্থার আধিকারিকরা। তাঁদের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়'। জানানো হয়েছে,'নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের উপস্থিতির ৫ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। এরপর ধৃত মনোব্রত জানাকে যখন স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন NIA আধিকারিকদের উপর হামলা চালানো হয়। এক আধিকারিক আহত হন। হামলায় একটি সরকারি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে'। ২ বছর পার। ২০২২ সালে ডিসেম্বরে পতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামের রাজকুমার মান্নার দোতলা বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাণ হারান ৩ জন। সেই ঘটনার তদন্ত করছে NIA।