পিয়ালী মিত্র: 'যা অভিযোগ উঠেছে, সবই মিথ্যা'। ভূপতিনগরকাণ্ডে এবার বিবৃতি দিল NIA। বিবৃতিতে উল্লেখ, 'NIA-র ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে'।
বিবৃতিতে উল্লেখ, 'হাইকোর্টের নির্দেশে ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্ত করছে NIA। আইন মেনেই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। শনিবার নাড়ুয়াবিলা গ্রামে গিয়ে বিনা প্ররোচনায়, অপ্রত্যাশিতভাবে হামলার মুখে পড়েন সংস্থার আধিকারিকরা। তাঁদের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়'। জানানো হয়েছে,'নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের উপস্থিতির ৫ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। এরপর ধৃত মনোব্রত জানাকে যখন স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন NIA আধিকারিকদের উপর হামলা চালানো হয়। এক আধিকারিক আহত হন। হামলায় একটি সরকারি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে'। ঘটনাটি ঠিক কী? লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্যে এবার আক্রান্ত NIA। ভুপতিনগর বিস্ফোরণের কাণ্ডে তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কবে? শনিবার ভোরে। অভিযোগ, তল্লাশি চলাকালীন NIA আধিকারিকদের উপর চড়াও হন গ্রামবাসীদের একাংশ। স্রেফ ইটবৃষ্টি নয়, ভাঙচুর চলে গাড়িতেও। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ভূপতিনগর থানায়।এদিকে NIA-র বিরুদ্ধে পাল্টা শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন ধৃত তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানার স্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠক রীতিমতো কাগজ দেখিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, ২৬ মার্চ NIA-এর এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক ধনরামের বাড়িতে বৈঠক করেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তৃণমূল নেতাদের তালিকা দেন তিনি।চুপ করে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রীও। রায়গঞ্জ নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, 'নিয়ম হচ্ছে পুলিসকে আগে জানিয়ে যাওয়া। বিজেপি কী মনে করে? প্রত্যেক বুথ এজেন্টকে গ্রেফতার করবে? আর নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করবেই বা কেন? আর কী অধিকার আছে এনআইএ-র? শুধুমাত্র বিজেপিকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য এটা করছে। বিজেপির এই নোংরামির বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীতে আওয়াজ তুলব'। মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, 'মাঝরাতে কেন গিয়েছিল এনআইএ? স্থানীয় পুলিসকে জানিয়ে তো যায়নি। মাঝরাতে গ্রামের মানুষ এত অচেনা লোক দেখলে যা হওয়ার তাই হয়েছে'।২ বছর পার। ২০২২ সালে ডিসেম্বরে পতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামের রাজকুমার মান্নার দোতলা বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাণ হারান ৩ জন। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত করছে NIA।