National Medical Commission : ডাক্তারদের সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে বার্তা এনএমসি-র
এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: অন্যকে সুস্থ করে তোলেন যাঁরা, তাঁরা নিজের সুস্বাস্থ্য নিয়ে কতটা সচেতন? শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভালো থাকার মূলমন্ত্র তাঁরা নিজের অনুসরণ করেন তো? রবিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য এবার তাই ‘মাই হেলথ, মাই রাইটস’ প্রকল্প চালু করল চিকিৎসা-শিক্ষার নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)।লক্ষ্য, যাঁরা ভবিষ্যতে আমজনতার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন, এমবিবিএস কোর্সের কঠিন পঠনপাঠনের মাঝে তাঁদের স্বাস্থ্য যেন ভালো থাকে। পাশাপাশি চিকিৎসকরাও তাঁদের ব্যস্ত পেশাগত রুটিনের মাঝে নিজের জন্য যেন সময় বের করেন নিয়মিত। এনএমসি-র চেয়ারম্যান বিএন গঙ্গাধর এবং আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট অরুণা বাণীকর জানান কাজের বাইরে খোলামেলা আড্ডা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও।
ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিজেকে সুস্থ-সবল রাখার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েও তৎপর হয়েছে এনএমসি। এই কর্মসূচিতে এনএমসি-র সঙ্গে যৌথ ভাবে রয়েছে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স অন মেন্টাল হেলথ এবং ওয়েল-বিয়িং অফ মেডিক্যাল স্টুডেন্টস। ডাক্তারি এবং ডাক্তারি পাঠ্যক্রমের যে প্রবল চাপ, তার সঙ্গে অনেকেই ঠিকঠাক এঁটে উঠতে না পেরে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অথচ সেই অবস্থাতেই নিজের যত্ন না নিয়ে অটুট থাকেন পুরোনো রুটিনেই। যা তাঁদের আরও ক্ষতি করে।
এই বিষয়টির কথা মনে করিয়ে দিয়ে এনএমসি এদিন তাদের প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুষ্টির খেয়াল রাখা, নিয়মিত শরীরচর্চা ও মেডিটেশন করা, সামাজিক মেলামেশা বাড়ানো আর প্রয়োজনে চাপ নিতে নিতে বিধ্বস্ত হয়ে গেলে সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং করানোর কোনও বিকল্প নেই সার্বিক ভাবে ভালো থাকার জন্য। বাস্তবকে মেনে নেওয়ার মতো মানসিক গঠন তৈরির ব্যাপারেও সওয়াল করা হয়েছে প্রেস বিবৃতিতে।