• গোলে ফিরলেন ক্লেইটন, জোড়া জয়ে সুপার সিক্সের দৌড়ে প্রবলভাবে টিকে থাকল ইস্টবেঙ্গল ...
    আজকাল | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
  • ইস্টবেঙ্গল - ২ (ক্রেসপো-পেনাল্টি, ক্লেইটন)বেঙ্গালুরু এফসি - ১ (সুনীল-পেনাল্টি)আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুই প্রাক্তনীতে বিদ্ধ বেঙ্গালুরু। রবিবাসরীয় রাতে যুবভারতীতে বেঙ্গালুরু এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্লে অফের আশা জিইয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল। কার্লোস কুয়াদ্রাতের মগজাস্ত্রে পরাস্ত তাঁর প্রাক্তন দল এবং সহকারী। স্কোরশিটে আবারও নিজের নাম তুললেন আরেক প্রাক্তনী ক্লেইটন সিলভা। চলতি আইএসএলে এই প্রথমবার পরপর দুটো ম্যাচ জিতল ইস্টবেঙ্গল। ডু অর ডাই ম্যাচ জিতে ২১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সের দৌড়ে প্রবলভাবে টিকে থাকল কুয়াদ্রাতের দল। বর্তমানে টেবিলে ছ"নম্বরে লাল হলুদ। হারের ফলে প্রথম ছয়ের আশা শেষ বেঙ্গালুরুর। ইস্টবেঙ্গলের সামনে রাস্তা খোলা থাকলেও পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ জিততেই হবে। পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে চেন্নাইন এফসি এবং নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের ম্যাচের রেজাল্টের দিকে। তবে এই দুটো দলের বিরুদ্ধেই হেড টু হেড এবং গোল পার্থক্যে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ জেতার পর উচ্ছ্বাসে ভাসেন কুয়াদ্রাত। মুষ্টিবদ্ধ হাত ছোড়েন সমর্থকদের উদ্দেশে। ম্যাচ শেষে গোটা দল গ্যালারির অভিবাদন গ্রহণ করে। এদিন গোলের নীচে দুর্দান্ত প্রভসুখন গিল। তিনটে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে ম্যাচের সেরা লাল হলুদ কিপার। তবে চতুর্থ হলুদ কার্ড দেখায়, পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে লিগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাওয়া যাবে না গিলকে। জয়ের খুশির মধ্যে এটাই চিন্তায় রাখবে কুয়াদ্রাতকে। এদিন শুরু থেকেই অলআউট ফুটবল খেলে দুই দলই। ম্যাচের ১১ মিনিটে নিশ্চিত গোল বাঁচান প্রভসুখন গিল। শিবা শক্তির শট বিপদমুক্ত করেন ইস্টবেঙ্গল কিপার। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম সুযোগ ১৫ মিনিটে। হিজাজির হেড বাইরে যায়। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ১৭ মিনিটে বক্সের মধ্যে মহেশকে ফাউল করেন ফানাই। পেনাল্টি দিতে দ্বিধা করেননি রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সল ক্রেসপো। কেরল ব্লাস্টার্সের পর আবার পেনাল্টি থেকে গোল তাঁর। শট নেওয়ার আগে একবার থমকে গিয়ে গুরপ্রীতকে বোকা বানান। চলতি মরশুমে ক্লেইটন সিলভা কয়েকটা পেনাল্টি মিস করায় এবার স্পট কিক নেওয়ার নতুন দায়িত্ব ক্রেসপোর। এদিন মরণ-বাঁচন ম্যাচে ৪-৩-৩ ফরমেশনে শুরু করেন কুয়াদ্রাত। বেশ কয়েকবার উইং বদলে ক্লেইটনকে নিখুঁত পাস বাড়ান মহেশ। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ ব্রাজিলিয়ান। তবে শেষপর্যন্ত এদিন নিজের পুরোনো দলের বিরুদ্ধে গোলে ফেরেন। প্রথমার্ধের শেষে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরায় বেঙ্গালুরু। ম্যাচের ৬০ মিনিটে ১-১ করেন সুনীল ছেত্রী। বক্সের মধ্যে সুনীলের শট খাবড়ার হাতে লাগে। পেনাল্টি দেন রেফারি। তবে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। দেখে মনে হয়েছে, বল টু হ্যান্ড। হাত সরানোর সুযোগ পাননি খাবড়া। পেনাল্টি নাও দিতে পারতেন। রেফারির সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে যায়। স্পট কিক থেকে আরও একটি গোল সুনীল ছেত্রীর। বিরতির পরই তাঁকে নামিয়ে দেন বেঙ্গালুরু কোচ। ম্যাচে সমতা ফেরার পর চেপে ধরেছিল বেঙ্গালুরু। কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় ইস্টবেঙ্গল। এগিয়ে গিয়েও হারার পুরনো রোগ আবার দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দলের হয়ে জয়সূচক গোল ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনীর।‌ ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ২-১ করেন ক্লেইটন সিলভা। বাঁ দিক থেকে নিশু কুমারের ক্রস হেড করে গোলে ঠেলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। নিজের প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রত্যেক ম্যাচে গোল রয়েছে ক্লেইটনের। গত দু"বছরে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে চার ম্যাচে চারটে গোল। এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার সুযোগ ছিল সুনীলদের সামনে। কিন্তু শেষ মিনিটে সিটার মিস করেন মনিরুল মোল্লা। আরও একটি নিশ্চিত গোল সেভ প্রভসুখনের। একেবারে অন্তিমলগ্নে ব্যবধান বাড়াতে পারত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শেষদিকে ফাঁকায় গোল মিস করেন আমন সিকে। গোল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গুরপ্রীত। তাঁকে কাটালেও সামনে ফাঁকা গোল পেয়েও তেকাঠিতে রাখতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্ত ফুটবলার। 
  • Link to this news (আজকাল)