সাতসকালে ই এম বাইপাসের ধারে অগ্নিকাণ্ড, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল আকাশ
এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
ফের শহর কলকাতায় আগুন। সাতসকালে আগুন লাগল প্লস্টিকের সামগ্রীর গুদাম ও ডেকরেটর্সের দোকানে। ই এম বাইপাসের ধারে প্রগতী ময়দান খানা এলাকার ঘটনা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় কাজ করতে অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।জানা গিয়েছে, সোমবার প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় ওই প্লাস্টিকের সামগ্রীর গুদামে আচমকাই আগুন লেগে যায়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে আগুন। খবর যায় দমকল ও পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। পাশাপাশি পৌঁছয় প্রগতী ময়দান থানার পুলিশ। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে নিমেষের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকার আকাশ। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। দমকল কর্মীরা জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত কোথাও কোথাও পকেট ফায়ার রয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ভিতরে কোনও দাহ্য বস্তু থাকার কারণেই এত বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। প্লাস্টিকের সমাগ্রীর ওই গুদামটি প্রায় পুরোটাই পুড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইঙ্গে পাশে থাকা ডেকরেটর্সের সামগ্রীর একটি দোকানও অনেকটাই ভস্মীভূত।
এই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ঘন জনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় গত ৫ বছর ধরে একটি প্লাস্টিকের কারখানা চলছে। সেখানে কারখানার গুদামও রয়েছে। এই নিয়ে বহুবার আপত্তিও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কিন্তু তারপরেও কেউ কোনওরকম কর্ণপাত করেননি। যদিও এদিনের অগ্নিকাণ্ডের পর গুদামের মালিক বা কর্মীদের কাউকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। রাত থেকেই বন্ধ রয়েছে কারখানাটি। সেক্ষেত্রে কী ভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দমকল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গুদাম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অগ্নিকাণ্ডের কথা জানানো হয়েছে। ঠিক কী থেকে আগুন তা জানতে তদন্তও শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে বাইপাসের আনন্দপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার ঝুপড়িতেও ভয়বাহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। একইসঙ্গে চলতে থাকে একের পর এক বিস্ফোরণ। আগুনের লেলিহান শিখা দূর থেকে দেখা যায়। সেই ঘটনাতেও খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। তৎপরতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাচ চালায় দমকল বাহিনী। সেই অগ্নিকাণ্ডে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির সমমুখিন হন ঝুপড়ির বহু বাসিন্দা। পুড়ে ছাই হয়ে যায় তাঁদের বহু সামগ্রী।