চা ছিল- চর্চা ছিল- বাদল দিনে দুর্গাপুরে দিলীপের দোসর হল 'দূর হঠো' স্লোগান। সোমবার বৃষ্টির জন্য একধাক্কায় কমেছে তাপমাত্রা। কিন্তু, দুর্গাপুরে চর চর করে বাড়তে দেখা গেল রাজনীতির পারদ। দিলীপ ঘোষ স্লোগান তুলেছিলেন রাজ্য রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে। তাঁর পালটা স্লোগান তৃণমূলের পতাকাধারী মহিলাদের।'ওয়াক', শরীর চর্চা আর চা-বঙ্গ রাজনীতিতে সকালের সদব্যবহার করতে বরাবর দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষকে। কখনও তিনি ইকো পার্কে গিয়ে শরীর চর্চা করেন, কখনও গরম চায়ে চুমুক দিয়ে রাজনৈতিক 'লাভা বাক্য' বলেন। সবমিলিয়ে 'প্রাতঃরাজনীতি' দিলীপ ঘোষের 'সিগনেচার স্টাইল', মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
সোমবার সকালে দুর্গাপুরের ফুলঝোড় মোড়ে 'চায়ে পে চর্চা' কর্মসূচিতে যোগদান করেন বর্ধমান - দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। হঠাৎই বেশ কিছু মহিলা এসে 'দিলীপ ঘোষ দূর হঠো' এবং 'জয় বাংলা' স্লোগান দিতে শুরু করেন। মুহূর্তে ছড়ায় উত্তেজনা।
পালটা স্লোগান শোনা যায় দিলীপ ঘোষের কণ্ঠেও। দুই দলের কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর ও নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ পৌঁছয়। কিন্তু, বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সামনেও চলে বিক্ষোভ। ওই মহিলাদের দাবি, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। সাধারণ মানুষ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে বলতে এসেছিলেন। কিন্তু, দিলীপ ঘোষ কোনও কথা শোনেননি বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।
ওই মহিলাদের আরও দাবি, ‘মোদী ক্ষমতায় এসে ১৫ লাখ টাকা করে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে ঢোকানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সেই টাকা কোথায়! গ্যাসের দাম বাড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য একাধিক কাজ এবং প্রকল্প করেছে। কিন্তু, মোদীর থেকে যা যা প্রত্যাশিত ছিল তিনি তা করেননি। বরং গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মাত্র।’
এদিকে এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে BJP কর্মী এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যদিও দিলীপ ঘোষ রয়েছেন স্বমহিমাতেই। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'তৃণমূলের দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই কিছু মহিলা এসেছিল ঝামেলা করতে।' গত কয়েকদিনে একাধিক কারণে শিরোনামে উঠে এসেছেন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে করা তাঁর কুমন্তব্যের জেরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।