বড়মা বীণাপানিদেবীর ঘর ও মন্দির দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে গাইঘাটা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর। এরই মাঝে এবার বড়মার ঘর হেরিটেজ করার দাবি তুললেন ভক্তদের একাংশ। আর সেই দাবিকে সমর্থন করলেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর।এই বিষয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'অবশ্যই এটা হেরিটেজ হওয়া উচিত, কারও কুক্ষিগত ঘর হওয়া উচিত নয়। কারণ এই ঘরের সঙ্গে ঠাকুর নগরের স্মৃতি বিজড়িত হয়ে রয়েছে, এই ঘরের সঙ্গে স্বগীয় পি আর ঠাকুর মহাশয়ের স্মৃতি বিজড়িত হয়ে রয়েছে, মা বীণাপানির স্মৃতি বিজড়িত হয়ে রয়েছে, এই ঘরকে যদি ভক্তরা হেরটেজ চায়, আমরা মান্যতা দেব, আমরা চাই এটা হেরিটেজ হোক। এক্ষেত্রে সবার জন্য এই খোলা থাকবে, এবং খোলা রাখা উচিত বলেও মনে করেন শান্তনু ঠাকুর।'
প্রসঙ্গত, মতুয়া মহাসংঘের বড়মা প্রয়াত বীণাপানি ঠাকুরের ঘর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘরের তালা ভেঙে ঢোকার অভিযোগ ওটে। অভিযোগ তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই গাইঘাটা থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। এমনকী এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে দরজা ভাঙতে দেখা যাচ্ছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।
এই বিষয়ে মমতা বালা ঠাকুর বলেন, 'বাজে মন্তব্য করে ও সঙ্গে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। তিনি বড়মার ঘরে ভালো ভাবে আস্তে পারতেন, যে দরজা সব সময় বন্ধ থাকে, সেটি ভেঙে ঢোকার প্রয়োজন ছিল না।' যদিও এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর পালটা দাবি করেন, ওই ঘরের সঙ্গে তাঁর ছোটবেলার স্মৃতি জড়িত। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে ওই ঘর দখল করে রাখা হয়েছে। কেন তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাবও দাবি করেন শান্তনু। বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে ১৯টি কেস দিয়েছেন মমতা বালা ঠাকুর, ১৯টির একটি কেসে আমি জেল খেটেছিলাম, তাও আবার আমার বাড়ির মন্দিরে চুরির দায়ে।' গোটা ঘটনাকে ঘিরে নির্বাচনের আগে রীতিমতো সরগরম বনগাঁ।