• 'হাইকোর্টের রক্ষাকবচে ভোট বানচালের চেষ্টা করতে পারে অভিযুক্তরা', পুলিশের রিপোর্টে চরম ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
    এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
  • 'হাইকোর্টের রক্ষাকবচের ফলে আগামী নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারে অভিযুক্তরা', পুলিশের রিপোর্টে এই মন্তব্য দেখে ব্যাপক ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এবার ভূপতিনগর থানার ওসিকে ব্যাখ্যা দিতে বলল আদালত।তপন মিদ্দি নামক এক BJP-র স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ২৬টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে ভূপতিনগর থানা। এর মধ্যে ১৫টিতে জমা দেওয়া হয়েছে চার্জশিট। মামলাকারীর অভিযোগ, তাঁর নামে কোনও FIR নেই। কিন্তু, একটি মামলায় গ্রেফতারের পর একের পর এক মামলায় ভূপতিনগর থানা তাঁকে 'সোন অ্যারেস্ট' করেছে। মোট কত মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে, তা নিয়ে আদালতের নির্দেশে এদিন একটি রিপোর্ট জমা দেন ভূপতিনগর থানার ওসি।

    সেখানেই অভিযুক্তের রক্ষা কবচ আটকানোর জন্য এই মন্তব্য করে 'ফাঁপরে' ভূপতিনগর থানার ওসি। ক্ষুব্ধ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্ন, এই ধরনের এমন আদালত অবমাননারকর মন্তব্য রিপোর্টে লেখার সাহস পেলেন কি করে ওসি? তাঁকে আদালতে এসে ব্যাখ্যা দিতে হবে, অভিযুক্তদের হাইকোর্টের দেওয়া রক্ষা কবচের ফলে কোন ভোট বানচাল হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ওসিকে এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা নিয়ে হাজির হতে হবে আদালতে।

    উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে ভূপতিনগর। সেখানে ২০২২ সালের বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে গিয়ে স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে যায় NIA। তিনটি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা গ্রামে ঢোকেন। অভিযোগ, ভূপতিনগরে গিয়ে 'আক্রান্ত' হতে হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের।

    এই ঘটনায় তপ্ত বঙ্গ রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক স্বার্থে এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন, গত ২৬ মার্চ BJP নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি NIA-র এক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁর এই দাবি ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    যদিও পালটা জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, যদি এই ধরনের কোনও দাবি করা হয় সেক্ষেত্রে যিনি অভিযোগ করেছেন তা প্রমাণ করার দায়িত্বও তাঁর। সবমিলিয়ে ভূপতিনগর নিয়ে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল উত্তাল। সূত্রের খবর, NIA-র উপর 'হামলা'-র ঘটনা নিয়ে অমিত শাহের মন্ত্রকের তরফে ফোন করা হয় ভূপতিনগরে। কোন গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে, ঠিক কী হয়েছিল? সেই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে, সূত্রের খবর এমনটাই।
  • Link to this news (এই সময়)