• পাহারাদার দুই পথ কুকুরকে মেরে বাড়িতে লুট দুষ্কৃতীদের
    এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: পাড়ার দু’টি পথ কুকুরকে নিয়মিত খেতে দিতেন নিউ আলিপুরের সাহা কলোনির বাসিন্দা রোহন কুণ্ডু এবং তাঁর মা। ঝড়বৃষ্টির দিনে তাদের বাড়িতেই আশ্রয় নিত সারমেয় দু’টি। শনিবার বিকেলে রানাঘাটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন মা ও ছেলে। প্রতিদিনের মতো রাতে বাড়ির সামনে পাহারায় ছিল কুকুর দু’টি।শনিবার মধ্যরাতে অচেনা লোকজনকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেখেই চিৎকার করতে শুরু করে তারা। অভিযোগ, তখনই পথ কুকুর দু’টিকে পিটিয়ে মেরে তালা ভেঙে রোহনের বাড়িতে ঢোকে দুষ্কৃতীদের দল। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সাহাপুর কলোনিতে কুণ্ডু পরিবারের বসবাস। সম্প্রতি, বাড়ির পাশেই একটি ফ্ল্যাট কেনেন রোহনের বাবা সঞ্জীব। তিনতলা বাড়ির একতলায় মাকে নিয়ে থাকতেন রোহন।

    শনিবার রাতে ওই ফ্ল্যাটেই ছিলেন সঞ্জীববাবু। তাঁদের বাড়ির সামনেই থাকত ওই দু’টি পথকুকুর। ফাঁকা দেখে মধ্যরাতে দুষ্কৃতীরা হানা দেয় ওই বাড়িতে। বাধা পেয়ে ওই কুকুর দু’টিকে পিটিয়ে মেরে বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দু’টি মোবাইল, ল্যাপটপ, নগদ টাকা ও সোনার গয়না লুট করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। রবিবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ অ্যাকোয়ারিয়মে থাকা মাছের খাবার দিতে এসে চুরির বিষয়টি টের পান সঞ্জীব।

    রোহনের কথায়, ‘একটি রাস্তার কুকুর, যেটিকে আমরা নিয়মিত খাওয়াতাম এবং যে আমাদের নীচের বারান্দায় ঘুমোতো, তাকে মৃত অবস্থায় বাবা প্রথমে দেখতে পান।’ কিছুটা দূরে অটোর মধ্যে আর একটি কুকুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। রোহনের দাবি, দুষ্কৃতীরা জানত যে কুকুরগুলো তাঁদের বাড়ি পাহারা দিত।

    সেই কারণেই বাড়িতে ঢোকার আগে প্রথমে তাদের পিটিয়ে মারে দুষ্কৃতীরা। বাবার ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরে আসেন রোহন। এই এলাকায় গত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি স্থানীয়দের। ওই এলাকার বাসিন্দা বিপুল মাইতি বলেন, ‘রোহনদের বাড়িতে অচেনা কেউ এলেই কুকুর দু’টি চিৎকার শুরু করত। দু’টি নিরীহ প্রাণীর প্রাণ গেল, এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়।’

    শনিবার মধ্যরাতের এই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আমাদের কাছে কিছু তথ্য এসেছে যার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে।’ কুকুরের মৃত্যুর অভিযোগও এসেছে। চুরিতে বাধা পেয়েই কুকুরের মৃত্যু কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা।
  • Link to this news (এই সময়)