Israel Hamas War : পণবন্দিদের মুক্তি না দিলে সংঘর্ষবিরতি নয়, অনড়-ই নেতানইয়াহু
এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: হামাস জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি ইজ়রায়েলিদের অবিলম্বে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক সরকার, এই দাবিতে ইজ়রায়েলে স্থানীয়দের বিক্ষোভ জোরদার হচ্ছে। জনক্ষোভ দানা বাঁধছে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। এদিকে, গাজ়ায় হামাস হত্যার নামে ইজ়রায়েলের চালানো হামলায় যে ভাবে নিরীহ প্যালেস্তিনীয়রা প্রাণ হারাচ্ছেন, তাতে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও প্রশ্নের মুখে পড়েছেন নেতানিয়াহু।ইজ়রায়েলের হামলায় গাজ়ার অস্তিত্ব প্রায় মুছে যাওয়ার মুখে, এমন দাবিও করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এই পরিস্থিতিতে কায়রোয় যখন আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সাহায্যে শান্তি আলোচনা শুরু হতে চলেছে, তখন নেতানিয়াহু স্পষ্ট বলে দিলেন, ‘আমরা যুদ্ধজয়ের থেকে আর মাত্র কয়েক পা দূরে। কিন্তু এই যুদ্ধের জন্য যে মূল্য আমাদের চোকাতে হয়েছে, তা মর্মান্তিক।
আমাদের পণবন্দিদের না ছাড়লে সংঘর্ষবিরতের কোনও প্রশ্নই নেই। ইজ়রায়েল চুক্তির জন্য প্রস্তুত, কিন্তু সারেন্ডার আমরা করব না।’
হামাস অবশ্য শান্তি আলোচনার জন্য কায়রোয় তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। তাদের দাবি, গাজ়া থেকে ইজ়রায়েলি সেনা সরাতে হবে এবং ইজ়রায়েলি জেলে বন্দি প্যালেস্তিনীয়দের মুক্ত করতে হবে।
কিন্তু হামাস তাদের পণবন্দিদের মুক্তি না দিলে কথা এগোবে না, তা এদিন স্পষ্ট করে দিলেন নেতানিয়াহু। অথচ, ইজ়রায়েলের উপর চাপ কম নয়। এতদিন আমেরিকাও ইজ়রায়েলের পাশে ছিল, জুগিয়েছিল অস্ত্র। কিন্তু সম্প্রতি গাজ়ায় ইজ়রায়েলি এয়ারস্ট্রাইকে মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাতজন ত্রাণকর্মী মারা যাওয়ার পর চটেছে ইউএস-ও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি ফোন করে নেতানইয়াহুকে জানিয়ে দিয়েছেন, অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা না করলে এবং সাধারণ নাগরিকের উপর হামলা বন্ধ না করলে ইজ়রায়েলকে আর অস্ত্রসাহায্য করবে না ইউএস। কিন্তু নেতানিয়াহুর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘ইজ়রায়েলের উপর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করে আদতে হামাসের হাত-ই শক্ত করা হচ্ছে। তার থেকে হামাসের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ালে আমাদের পণবন্দিদের মুক্তির আশা জোরালো হবে।’