পরমাণু বোমা বিস্ফোরণে দিল্লি বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। হুমকি বার্তা পেতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সোমবার, ৮ এপ্রিল দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর এমনটাই। হুমকি বার্তা পেতেই বাড়তি সতর্কতা। দিল্লির IGI বিমানবন্দরে বিমানে ওঠার আগে যাত্রীদের মালপত্রে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল যাত্রীদেরও। সেই সময় দুই যাত্রী পারমাণবিক বোমা মেরে দিল্লি বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন নিরাপত্তাকর্মীরাদের। এরপর বিমাবন্দরে হৈচৈ পড়ে যায়।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দরে পারমাণবিক বোমা হামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দুই যাত্রীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় FIR নথিভুক্ত হয়েছে। তবে বোমা হামলার হুমকি বার্তা পাওয়ার পর বাড়তি সতর্ক দিল্লি পুলিশ। উল্লেখ্য, IGI বিমানবন্দর দেশের ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি। এই বিমানবন্দর বিশ্বের একাধিক বড় শহরের সঙ্গে রাজধানীকে সংযুক্ত করেছে।
তবে পরমাণু বোমা বিস্পোরণে দিল্লি বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এই অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও মিলেছে এই ধরনের হুমকি। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতাগামী একটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে বিমানবন্দরে একটি উড়ো ফোন আসে। ফোনের বিপরীত দিক থেকে বলা হয় কলকাতার একটি বিমানে বোমা রাখা রয়েছে। এই উড়ো হুমকি ফোন পাওয়ার পর আতঙ্ক ছড়ায়। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্য়ে। তড়িঘড়ি বিমানটিতে তল্লাশি চালানো হয়, তবে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। পরে জানা যায়, কেউ ইচ্ছা করেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ডিসিপি আইজিআই ঊষা রঙ্গনানি সেসময় জানান, 'কলকাতাগামী একটি বিমানে বোমা রাখা রয়েছে বলে হুমকি ফোন এসেছিল IGI বিমানবন্দরে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানে তল্লাশি চালানো হয়। পরে জানা যায়, কেউ আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য উড়ো ফোন করেছিল। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সব প্রোটোকল মানা হয়। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয় থানায়।'
গত বছর জুন মাসে কলকাতা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। দোহাগামী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে যাত্রীর চিৎকারে ছড়ায় আতঙ্ক। বিমান খালি করে চলে তল্লাশি। আনা হয় পুলিশ কুকুর। বোমাতঙ্কের জেরে দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরেই দাঁড়িয়ে থাকে বিমানটি। তবে শেষপর্যন্ত কোনও সন্দেহজনক বস্তুর সন্ধান মেলেনি। কলকাতা থেকে দোহা যাচ্ছিল কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ কলকাতা থেকে রওনা দেওয়ার আগে বিমানের এক যাত্রী চিৎকার করতে থাকেন। তাঁর দাবি ছিল, বিমানে বিস্ফোরক রাখা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিমান থেকে যাত্রীদের নামিয়ে ফেলা হয়। তল্লাশি শুরু করে সিআইএসএফ। আনা হয় স্নিফার ডগ বা পুলিশ কুকুরও। তল্লাশি চললেও কোনও সন্দেহজনক বস্তু মেলেনি শেষ পর্যন্ত।