'বিজেপির বিরুদ্ধে ভয়ডরহীন লড়াই মমতার', তিহাড় থেকে বেরিয়ে মন্তব্য কেজরির দলের সাংসদের
এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
দলের সুপ্রিমো যখন তিহাড় জেলে বন্দি তখন ছাড়া পেয়েছেন আপের রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় সিং। গত বুধবার তিনি তিহাড় থেকে শর্তসাপেক্ষ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে আবগারি দুর্নীতি মামলায় দলের একের পর এক নেতার জেলযাত্রা কতটা প্রভাব ফেলবে? সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অকপট জবাব দিলেন সঞ্জয় সিং। প্রসঙ্গ উত্থাপিত হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং BJP-র বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই নিয়েও।
লোকসভা নির্বাচনে আপের রোড ম্যাপ কী?গোটা দেশে ইন্ডিয়া জোটের অংশ হিসেব আম আদমি পার্টি মোট ২৩টি আসনে লড়ছে। সঞ্জয় সিং বলেন, 'যে যে আসনগুলিতে আমাদের প্রার্থীরা লড়ছে সেখানে জেতার জন্য ঝাঁপানো আর যেখানে শরিক দলগুলি লড়ছে, তাদের জেতানোর চেষ্টা।' আপ সাংসদ জানান, এই মুহূর্তে ইন্ডিয়া জোটের সামনে রয়েছে তিন থেকে চারটি ইস্যু। ১) গণতন্ত্র বিপন্ন। ২) বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের জেলে পাঠানো হচ্ছে। ৩) জয়ী সরকারকে ফেলে দেওয়া প্রচেষ্টা চলছে। এ ছাড়াও ইন্ডিয়া জোট মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়ছে বলে জানান তিনি। সঞ্জয় সিংয়ের কথায়, 'আমার বিশ্বাস ২০২৪ সালের নির্বাচনে হেরে যাবেন নরেন্দ্র মোদী। যখনই তারা জয় নিয়ে এতটা ওভার কনফিডেন্ট হয়েছে তখনই পতন হয়েছে।'পশ্চিমবঙ্গে BJP ভালো ফল করতে পারবে?সঞ্জয় সিংয়ের কথায়, 'পশ্চিমবঙ্গে BJP ২০০ আসন জয়ের কথা বলেছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। কী হল দেখেছেন তো। এবারও মুখ থুবড়ে পড়বে গেরুয়া শিবির। মিজোরামে তারা ২১ আসন পাবে বলেছিল। পেয়েছে কেবলমাত্র এক। হরিয়ানাতেও ৭৫ পেরিয়ে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছিল। তবে পেয়েছিল মাত্র ৪০। ফলে এবার তারা যে ৪০০ পার করার টার্গেট নিয়েছে, তাও বাস্তবায়িত হবে না।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা সঞ্জয় সিংয়েরআম আদমি পার্টির সাংসদের কথায়, 'BJP-র বিরুদ্ধে লড়াই করতে যারপরনাই চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতীশ কুমার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্তর ফারাক রয়েছে। নীতীশজি BJP-র কাছে মাতা নত করেছেন। মমতাজি BJP-র বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন। বাংলার ফল খুব ভালো হবে। আর সেই ফলাফলের জন্য ইন্ডিয়া জোট উপকৃত হবে।'
সুনীতা কেজরিওয়াল দিল্লির পরবর্তী মুখ্য়মন্ত্রী?সঞ্জয় সিংয়ের কথায়, 'তাঁর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তবে আমাদের দল আনুষ্ঠানিকভাবে বারবার এ কথা ঘোষণা করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। দিল্লির দু'কোটি মানুষও তেমনটাই চায়। BJP-কে হারাতে সবরকম প্রচেষ্টা চালাব আমরা। সফল হবই। সুনীতা কেজরিওয়ালও প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন। দিল্লির বাইরেও প্রার্থীদের হয়ে পথে নামবেন তিনি।'