• এক ট্রেনে তারকেশ্বর থেকে কামারপুকুর-জয়রামবাটি হয়ে বিষ্ণুপুর, কবে চালু?
    এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
  • রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও গতি আনতে এবং পর্যটন বাড়ানোর লক্ষ্যে, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পথে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে চলেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার পাশাপাশি এই রেলপথ তৈরির অন্যতম লক্ষ্য হল পোড়ামাটির মন্দিরের জন্য বিখ্যাত বিষ্ণুপুর শহরের সঙ্গে হুগলির অন্যতম জনপ্রিয় শৈবক্ষেত্র তারকেশ্বরকে সংযুক্ত করা। পরিকল্পিত সার্কিট রুটের মধ্যবর্তী স্টপেজ হিসেবে থাকবে কামারপুকুর এবং জয়রামবাটি, যা যুগপুরুষ শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং মা সারদার স্মৃতিবিজড়িত, তথা তাঁদের জন্মস্থান।২০০১ সালে প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত বিষ্ণুপুর - তারকেশ্বর নিউ লাইন প্রকল্পটি ৮৭ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং এটি কেবলমাত্র তীর্থযাত্রার সুবিধার্থেই নয়, পাশাপাশি দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে এবং পূর্ব রেলওয়ের মধ্যে পণ্য পরিবহনের বিকল্প রুট হিসাবেও কাজ করবে। তবে, এত সম্ভাবনা সত্ত্বেও, প্রকল্পটি মূলত জমি জটের কারণে যথেষ্টই বিলম্বের মুখোমুখি হয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কতটা এগিয়েছে এই প্রকল্পের কাজ -

    ময়নাপুর থেকে বড় গোপীনাথপুর (৭.৭ কিমি) : এই অংশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, মাটিখনন এবং সেতুনির্মাণের কাজ ৮০%-র বেশি সম্পন্ন হয়েছে। বড় গোপীনাথপুর স্টেশন নির্মাণের কাজও পুরোদমে চলছে।

    বড় গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটি (৭.১ কিমি) : এই অংশেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, মাটিখনন এবং সেতুনির্মাণের কাজ ৭০% সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে জয়রামবাটি স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে।

    জয়রামবাটি থেকে কামারপুকুর (৫ কিমি) : জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে, বিশেষত ২.৫ কিলোমিটার অংশের কাজের অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে, সমস্যার সমাধান এবং অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরে, প্রয়োজনীয় জমিটি ৮ই মার্চ, ২০২৪-এ সেই জমি রেল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরিত।

    কামারপুকুর থেকে গোঘাট (৫.৫ কিমি) : ৯০০ মিটার বিস্তৃত ভবাদিঘি অঞ্চল বাদে এই বিভাগের বেশিরভাগ বড় কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। খুব শিঘ্রই ভবাদিঘি সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলেও আশা করছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    ২০২৫ সালে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্প শেষ হলে ওই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। মা সারদাদেবী এবং শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্মস্থানের মধ্যে রেলপথের মাধ্যমে সহজেই যোগাযোগ সম্পন্ন করা যাবে। ফলে বিষ্ণুপুর - তারকেশ্বরের মধ্যে যোগাযোগ যেমন সহজ হবে, তেমনই তীর্যযাত্রীদের পক্ষেও কম খরচে ও কম সমেয় তারকেশ্বর, কামারপুকুর, জয়রামবাটি ও বিষ্ণুপুরের মদনমোহনকে দর্শন করা সম্ভব হবে। ২০২৫ সালে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে, তারপরেই হয়ত চালু করা হবে লাইনটি। এখন দেখার বাস্তবেই কবে এই লাইনে গড়ায় রেলের চাকা।
  • Link to this news (এই সময়)