ভোট বড় বালাই। কেউ সেলুনে গিয়ে চুল কেটে দিচ্ছেন গ্রাহকের, কেউ আবার মাছের বাজারে পা রেখে কিনছেন মাছ। এবার প্রচারে বেরিয়ে BJP প্রার্থীকে দেখা গেল চিকিৎসকের ভূমিকায়।ড. সুভাষ সরকার পেশায় চিকিৎসক। পরবর্তীকালে তিনি রাজনীতিতে পা রাখেন। এবারেও বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকেই প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। এবার সেই 'ডাক্তারবাবু'-কেই প্রচারের ফাঁকে দেখা গেল সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করতে।
অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডা: সুভাষ সরকার। ওই দিন তিনি পৌঁছে যান তালডাংরা বিধানসভা এলাকার গৌউর বাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাঁকতোড় গ্রামে। এই গ্রামেরই জনৈক তীর্থঙ্কর ব্রহ্মচারী দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে কিডনি স্টোনের সফল অস্ত্রোপচারের পর বাড়ি ফিরেছিলেন। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ওই দিনই তাঁর ড্রেসিংয়ের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, নানা কারণে তাঁর আর হাসপাতালে যাওয়া হয়নি। গ্রামে প্রচার চলাকালীন এই কথা জানতে পেরেই সটান তীর্থঙ্কর ব্রহ্মচারীর বাড়িতে হাজির হন সুভাষ সরকার। এরপর তিনিই রোগীর ড্রেসিং করেন। স্বাভাবিকভাবেই খুশি রোগী এবং তাঁর পরিবার। এদিন সুভাষ সরকার রোগীকে বলেন, 'আপনি সাত দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবেন।'
তিনি বলেন, 'এখানে এসে জানতে পারলান ওর পিসিএনএল হয়েছে। অর্থাৎ পিঠের দিকে ফুটো করে ওর কিডনির ভেতরে যে পাথর তা বার করা হয়েছে। ওঁর একটা ড্রেসিং ছিল। হাসপাতাল থেকে বলেছিল আজ ড্রেসিং বদল করতে। আজ আমি সেই কাজ করেছি। প্রচারের ফাঁকে এই চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পেরে খুব ভালো লাগল।' এদিকে খুশি ওই রোগীর পরিবারও। তাঁরা সুভাষ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের কথায়, ‘ভোট এলেই প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে জনসংযোগ সারেন। কারওকে দেখা যাচ্ছে রেঁধে বেড়ে দিতে, কেউ আবার খাবার খাচ্ছেন এলাকাবাসীর উঠোনে বসে। বঙ্গ রাজনীতিতে এই দৃশ্যগুলি নতুন নয়।’
পর্যবেক্ষক মহলের সংযোজন, ‘যে দৃশ্যগুলি প্রচারের ফাঁকে দেখা যাচ্ছে তা মোটেও নতুন নয়। এর আগেও এভাবে জনসংযোগ সেরেছেন প্রার্থীরা। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলা, তাঁদের বাড়ির কাজে হাত লাগাতেও দেখা গিয়েছে বহু প্রার্থীকে। অনেক সময় আবার কেউ কেউ নতুন নতুন পন্থা নেন জনসংযোগের। এই চিত্র ব্যতিক্রমী নয়, বরং অনেকটাই স্পষ্ট সাধারণ মানুষের কাছে।’