• পণের দাবি মেটাতে না পারায় যুবতীকে খুনের অভিযোগ
    আজকাল | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: পণের দাবিতে এক যুবতীকে খুন করার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থানা এলাকায়। মৃত ওই মহিলার নাম রুকসানা খাতুন (২১)। বাড়ি জিয়াগঞ্জ শহরের আমিনাবাজার এলাকায়। রবিবার রাতে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। বছর চারেক আগে সাগরদিঘির দস্তুরহাট গ্রামের বাসিন্দা রুকসানার সঙ্গে জিয়াগঞ্জের আমিনাবাজার এলাকার বাসিন্দা নেশকাতুন ইসলাম নামে এক যুবকের বিয়ে হয়। এক কন্যা সন্তানের মা রুকসানা বর্তমানে জিয়াগঞ্জ শ্রীপত সিং কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুকসানার স্বামী নেশকাতুন গত কয়েক বছর ধরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরবে কাজ করছিল। সেই কারণে রুকসানা তাঁর নাবালিকা কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ির দস্তুরহাট গ্রামেই থাকতেন। গত এক মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসে রুকসানার স্বামী। এরপর সে স্বামীর বাড়ি জিয়াগঞ্জের আমিনাবাজারে ফিরে যায়। যুবতীর আত্মীয় মুরসেলিম শেখ বলেন, "বিয়ের সময় রুকসানাকে প্রচুর যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে মাঝেমধ্যেই তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আরও যৌতুক আনার জন্য চাপ দেওয়া হত এবং সেই যৌতুক আনতে না পারলেই মারধর করা হতো।"তিনি বলেন,"সৌদি থেকে ফিরে এসে রুকসানার স্বামী তাকে একটি বুলেট মোটরসাইকেল দেওয়ার দাবি জানাতে থাকে। আমরা কথা দিয়েছিলাম ঈদের পর তাকে নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেব। রবিবার আমরা জানতে পারি রুকসানাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে সেখানে গিয়ে জানতে পারি সে মারা গেছে। রুকসানার একমাত্র কন্যা আমাদেরকে জানিয়েছে নেসকাতুন এবং তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য জোর করে রুকসানার বিষ খাইয়ে খুন করেছে। আমাদের ধারণা পণের দাবি সময়মত মেটাতে না পারার জন্যই এই খুন। " মৃতার পরিবারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে রুকসানার স্বামী। ছাড়াও তার শ্বশুর এবং চার ননদের বিরুদ্ধে জিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য।
  • Link to this news (আজকাল)