'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার পরই দলে দলে নেতারা কংগ্রেস ছাড়ছেন', হিমন্তের নিশানায় রাহুল
এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি অসমের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল। এই যাত্রার সময় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ‘ভারতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ মুখ্যমন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করেন রাহুল গান্ধী। এবার কার্যত সেই কটাক্ষেরই পাল্টা জবাব দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আজকাল কংগ্রেস সদর দফতর বা জেলা অফিসগুলি খালি চেয়ারেই ভর্তি সেইসঙ্গে সদর দফতরের অবস্থাও তথৈবচ। তারপরই তিনি দাবি করেন যে, উত্তর-পূর্ব রাজ্য জুড়ে বহু কংগ্রেস সদস্য এবং নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কারণ তাঁরা কংগ্রেস দলের প্রতি অসন্তুষ্ট। লোকসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই এই ক্ষোভ আরও দ্বিগুণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
রাহুল গান্ধীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, রাহুল গান্ধী একটি নির্দিষ্ট রাজ্যের সংস্কৃতি এবং সংবেদশীলতা নিয়ে মোটেই ওয়াকিবহাল নন। তিনি বলেন, দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারের জন্য কোনও রাজ্যে প্রবেশের পর যাতে কিছু ভুল না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আগে থেকে ব্রিফিং এবং ডিব্রিফিং তিনি নেন। তিনি আরও বলেন, যে রাহুল গান্ধী রাজ্যের সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তিনি নিজের সহকর্মীদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করেন না। একটা রাজ্যে গেলে কী বলা উচিত এবং কী বলা উচিত না বা সেই রাজ্যের সংবেদনশীলতা কী তা জানার চেষ্টা করা উচিত বলে দবি করেছেন বিশ্বশর্মা।
তাঁর দাবি, বর্ণ শুমারির বিষয়টি বিহার এবং উত্তর প্রদেশে প্রাসঙ্গিক হতে পারে তবে তা অসমে কোনওভাবেই প্রাসঙ্গিক নয়। এর পাশাপাশি রাহুল গান্ধীকে একজন অধৈর্য ব্যক্তি বলেও অভিহিত করেছেন বিশ্বশর্মা। এর সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন যে, ব্রিফিং শোনার জন্য যে ধৈর্য্য লাগে তা রাহুল গান্ধীর নেই।
তবে এই প্রথম বরই নয়, এর আঘেও একাধিকবার রাহুল গান্ধী এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মা একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। এর আগেও হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছিলেন যে, এক বা দুজন বাদে বাকি কংগ্রেসের নেতারা শেষপর্যন্ত বিজেপিতে যোগ দেবেন। তিনি আরও বলেন যে, আস্তে আস্তে সবাই বিজেপিতে যোগ দেবেন। আর সেই কারণেই বিজেপি কখনওই নিজেদের দরজা বন্ধ করেনি। তিনি দাবি করেছিলেন যে অসমের কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বোরাও বিজেপিতে যোগ দেবেন।