কার দখলে মতুয়া ঠাকুরবাড়ি? নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী
এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
কার দখলে ঠাকুরবাড়ি? বনগাঁর ঠাকুরনগর জুড়ে এখন চলছে এই চর্চা। গাইঘাটার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে বড়মা বীণাপানিদেবীর ঘরের দখলকে করে জেঠিমা ও ভাইপোর বিবাদ প্রকাশ্যে। বড়মা বীণাপানিদেবীর ঘর শান্তনু ঠাকুরের দখলে থাকবে না কি মমতাবালা ঠাকুরের দখলে তা নিয়ে বারুণী মেলা চলাকালীনই শুরু হয় বিবাদ। রাত থেকেই টানটান উত্তেজনা ঠাকুরবাড়ি চত্বরে। নিজে হাতে দরজায় তালা ভাঙতেও দেখা যায়, ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য তথা কেন্দ্রের বিদায়ী মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। এই ঘটনায় শান্তনুর বিরুদ্ধে বড়মা বীণাপানিদেবীর ঘর ও মন্দির জোর করে দখলের অভিযোগ তোলেন মমতাবালা ঠাকুর।এই অবস্থায় ঠাকুরবাড়ির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তায় দায়িত্ব নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঠাকুরবাড়িতে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় রাত থেকেই। সকাল থেকেও ঠাকুরনগরজুড়ে রয়েছে চাপা উত্তেজনা। মেলা চললেও নানা প্রান্ত থেকে মতুয়া ভক্তরা আসছেন ঠাকুরবাড়িতে। অনেক মতুয়া ভক্ত আবার এসেই ফিরে যাচ্ছেন। তবে ঠাকুরবাড়ি ঘিরে এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান হোক, এমনটাই চাইছেন মতুয়া ভক্তরা। পারিবারিক বিবাদকে সরিয়ে রেখে, বজায় থাকুক ঠাকুরবাড়ির মাহাত্ম্য।
দূর দূরান্ত থেকে আসা মতুয়া ভক্তরা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে কষ্টার্জিত টাকা খরচ করে পূণ্যলাভের আশায় ঠাকুরবাড়িতে আসেন তাঁরা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ঠাকুরবাড়িকে ঘিরে তৈরি হওয়া এমন পরিস্থিতি কখনোই কাম্য নয়। বিষয়টিতে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক রঙ লেগেছে। শান্তনু ঠাকুর যেমন মমতা বালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে দখলদারির অভিযোগ তুলছেন, তেমনই মমতাবালা শান্তনুর বিরুদ্ধে উগড়ে দিচ্ছেন একগুচ্ছ ক্ষোভ। এমনকী সারারাত তাঁকে বাইরে বসে কাটাতে হয় বলেও দাবি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের। সেই কারণে তিনি ১৪৪ ধারা চেয়েছিলেন বলেও দাবি করেন মমতা।
এদিকে শান্তনু ঠাকুরের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই মতুয়া ভক্তদের দাবি মেনে ঠাকুরবাড়িতে বীণাপানিদেবীর ঘর হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি তোলা হয়েছে। তাঁর মতে, এই ঘর হেরিটেজ হওয়া উচিত, কারও কুক্ষিগত হিসেবে থাকা উচিত নয়। কারণ এই ঘরের সঙ্গে ঠাকুরনগরের স্মৃতি, স্বগীয় পি আর ঠাকুরের স্মৃতি, বড়মা বীণাপানিরদেবীর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তাই এই ঘর যদি ভক্তরা হেরটেজ করার দাবি তোলেন, তাহলে সেই দাবিতে তাঁরা মান্যতা দেবেন বলেও জানান শান্তনু ঠাকুর। অন্যদিকে এরই মাঝে শান্তনু ঠাকুরের নামে এসেছে হুমকি চিঠি। যে চিঠিতে প্রেরক নিজেকে লস্কর ই তইবার সদস্য বলে দাবি করেছে। সেক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ঠাকুরবাড়ির পরিস্থিতি এখন কোন দিকে যায়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিকমহলের