লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা মাসে ১০ হাজার করার জন্য আন্দোলনে বাম-কংগ্রেস! দাবি হাত শিবিরের প্রার্থীর
এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৪
বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা হাজারের বদলে ১০ হাজার করার জন্য আন্দোলনে নেমেছে বাম-কংগ্রেস! এমনই কথা শোনা গেল বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদের কণ্ঠে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় আসন সমঝোতার পথে হেঁটেছে বাম এবং কংগ্রেস।তিনি সোমবার সাঁইথিয়ায় ভোট প্রচারে গিয়ে বলেন, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-এর প্রাপ্য যাতে ১০ হাজার টাকা করা হয় সেই জন্য আমরা ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছি। জাতীয় কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের দাবি, ১০০০ টাকা নয়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক। সঙ্গে সঙ্গে আর একটা কথা বলছি, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলে পশ্চিমবঙ্গের মা বোনেরা বছরে ১ লাখ টাকা পাবেন।'
তাঁর সংযোজন, ' তাই বলছি এটা মোদীর বিরুদ্ধে ভোট। যদি কংগ্রেস-বামফ্রন্টে ভোট দেন এবং যদি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে রাজ্যের মহিলারা বছরে ১ লাখ টাকা করে পাবেন-মহালক্ষ্মীর ভাণ্ডার। দুটো সুযোগের সদব্যবহার করুন।'
তাঁর এই মন্তব্যের পর রীতিমতো আকাশ থেকে পড়ছেন অনেকেই। কিছুদিন আগেই BJP প্রার্থী খগেন মুর্মু -র দেওয়াল লিখনে উঠে এসেছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা। এই প্রকল্পের কথা সামনে রেখে লেখা হয়েছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করার কথাও শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের কণ্ঠে। এই কথা বলে মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে BJP, দাবি করেছিল তৃণমূল।
এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গ উঠে এল কংগ্রেস প্রার্থীর কণ্ঠে। এই মন্তব্য প্রসঙ্গে বীরভূম সাংগঠনিক জেলার BJP-র সহ সভাপতি দীপক দাস বলেন, ' মনে হয় তিনি না বুঝেই বলেছেন। অর্থনীতিটা হয়তো বোঝেন না। ১০ হাজার টাকা করে দিতে গেলে কত টাকা লাগে তিনি হিসাব করেছেন!’
তিনি আরও বলেন, ‘ বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে টাকা দিচ্ছেন তাতেই বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয় কত! ওঁর হিসাব মতো তা ১০ গুণ হলে আড়াই লাখ কোটি টাকা খরচ হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয়ই এত নয়। দেবে কোথা থেকে! মিল্টন রশিদ না বুঝে বলেছেন। তিনি অন্য বিষয়ের ব্যক্তিত্ব। ওই বিষয়েই কথা বলতে পারেন। না বুঝে একজন শিক্ষিত ব্যাক্তির কথা বলা উচিত নয়।'
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'হাস্যকর কথা। ওঁরা জানে এখানে জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ণের প্রয়োজন নেই।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দেখিয়েছেন ওরা যদি করে দেখাতে পারে তাহলে বিশ্বাস করব।'