Abhishek Banerjee : ‘গণতন্ত্রের কালো দিন’, দিল্লির ঘটনায় নির্বাচন কমিশন দায়ী, দাবি অভিষেকের
এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির ঘটনায় কমিশনকে দায়ী করলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এটা গণতন্ত্রের কালো দিন।’ কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।অভিষেক এদিন ব্যাখ্যা দেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে NIA-এর সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি, এই অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এই ঘটনার প্রতিবাদে কমিশনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করা হয়েছিল। দেশ জুড়ে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু রয়েছে। ফলত, দিল্লি পুলিশ যেভাবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে হেনস্থা করেছে, তার জন্য কমিশন দায়ী।
কমিশনকে কাঠগড়ায় তোলার পাশাপাশি, বিজেপিকে আক্রমণ করেন অভিষেক। গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও এই নির্বাচনে খারাপ ফলাফল করবে বলে দাবি করেন তিনি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আদালতে সব তথ্য পেশ করা হবে বলেও জানান তিনি। NIA এসপি ধন রাম সিংয়ের সঙ্গে দেখার অভিযোগ আগে তুলেছিল তৃণমূল। এই ঘটনায় একটি সিসিটিভি ফুটেজ পেশ করা হবে বলেও জানান অভিষেক।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ রাজ্যপাল শুনেছেন। তৃণমূলের তরফে বিষয়ে নিয়ে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করার আর্জি জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যপাল কোনও সহযোগিতা করেন কিনা, সেটা আগামীকাল পর্যন্ত দেখা হবে। আগামীকাল রাতে ফের এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানানো হবে বলে জানান অভিষেক।
দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দশ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে বৈঠক করে বাইরে এসে সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা। এরপরেই নির্বাচন কমিশনের সামনে ২৪ ঘণ্টার জন্য ধরনা কর্মসূচির ঘোষণা করেন তাঁরা। কমিশনের ভবনের সামনেই একে একে বসে পড়েন দোলা সেন, সাকেত গোখেলরা। এরপরই কমিশনের অফিসের সামনে থেকে তাঁদের সরিয়ে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দিল্লি পুলিশ।
কমিশনের সামনে টেনে হিঁচড়ে তুলে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সকলকে নিয়ে যাওয়া হয়। দিল্লির মন্দির মার্গ থানার ভিতরে রাখা হয় সকলকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অভিষেক টুইট করেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে দিল্লির কৃষি ভবনে গণতন্ত্রের মুখ বন্ধ করা হয়েছিল। সোমবার প্রকাশ্য দিবালোকে গণতন্ত্রের উপর হামলা চালানো হল। বাংলা-বিরোধী জমিদারেরা ক্ষমতার জন্য আরও হিংসাত্মক হয়ে উঠছে। বাংলা এর জবাব দেবে। বিজেপি তৈরি থাকো বলে জানান তিনি। এরপরই রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় চাওয়া হয়েছিল।