মণিপুর ইস্যুতে মুখ খোলায় সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল বিরোধীরা। টানা ছয় মাসে সন্ত্রাসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন দুশোর কাছাকাছি মানুষ। এবার সেই মণিপুর ইস্যুতে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তবে সেই কালো অধ্যায়কে পাশ কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার অতি দ্রুত হস্তক্ষেপ করায় মণিপুর সমস্যার মোকাবিলা করা গেছে। একটি ইংরেজি মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, মণিপুর এখন স্বাভাবিক। মণিপুর ইস্যুতে মোদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহকে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, মণিপুর ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য রজ্য সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্র উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২ মে মণিপুর হিংসার এক বছর পূরণ হবে। ওয়াকিবহাল মহলসূত্রে খবর, গত এক বছরে মণিপুরের পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনও রকম উন্নতি হয়নি। বিবাদে জড়িত দুই জনগোষ্ঠী এখনও নিজেদের এলাকায় ফিরতে পারেনি।
এমন পরিস্থিতিতে এই পাহাড়ি রাজ্যে কীভাবে লোকসভা নির্বাচন হবে তা নিয়ে এখনও উদ্বেগের শেষ নেই। প্রয়োজনে আশ্রয় শিবিরে ভোট গ্রহণ হবে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই জায়গয় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। অন্যদিকে, ঝামেলা চলাকালীন মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে বারে বারে সরব হয়েছে বিরোধীরা। পরে সংসদে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন শুধু। অথচ ঠিক লোকসভা নির্বাচনের আগে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন দাবিতে হতবাক গোটা রাজনৈতিক মহল।
সোমবার মণিপুরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্মিলিত দায়িত্বের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তিবি বলেন, মণিপুরসংঘাত যখন চরমে ছিল সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরে ছিলেন। তিনি সেই সময় সংঘাতের সমাধানের জন্য বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রায় ১৫ টিরও বেশি বৈঠক করেছিলেন।
এমনিতেই মণিপুর ইস্যুতে কংগ্রেস সহ সমস্ত বিরোধী দলগুলি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছে। তবে তারই মাঝে মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্র যে তার পুরো প্রশাসনিক শক্তির প্রয়োগ করছে তা বলেছিলেন। তিনি বলেন, মণিপুরে ত্রাণ এবং পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলছে। আশ্রয় শিবিরে থাকা মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কংগ্রেস এর আগে প্রধানমন্ত্রীর অসম সফরের সময় উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলিতে অস্থিরতা বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রের সমালোচনা করেছিল।