Summer Season : চৈত্রেই ৪০ ডিগ্রি ছোঁবে পারদ! ভয়ংকর গরমের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও প্রখর গরমের তেজের হাত থেকে রেহাই নেই মানুষের। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, চলতি সপ্তাহেই শেষেই তাপমাত্রার পারদ পৌঁছে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামী ১৫ এপ্রিল অর্থাৎ পয়লা বৈশাখের আগেই জ্বালাপোড়া গরম পড়তে পারে দেশজুড়ে।৪০ ডিগ্রি ছোঁবে তাপমাত্রার পারদIMD-র তরফে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে দিল্লি-NCR সহ সংলগ্ন এলাকায় তাপমাত্রার পারদ পৌঁছে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে ঝড়বৃষ্টি পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল। তাও ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে ফের একবার গলদঘর্ম দশা ফিরতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। উত্তর পশ্চিম দিক থেকে আসা ঝোড়ো হাওয়ার কারণে কয়েকদিন কিছুটা হলেও তাপমাত্রা নিম্নমুখী হয়েছিল। তবে এই স্বস্তির অবসান ঘটতে চলেছে খুব শীঘ্রই। থমকে যাবে ঝোড়ো হাওয়া, বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
IMD-র বিজ্ঞানী কুলদীপ শ্রীবাস্তব বলেন, '২৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটার গতিবেগে রবিবারও ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে দেশের নানা অংশে। তবে মঙ্গলের পর থেকে আবহাওয়ার ভোলবদল হতে চলেছে। তিন থেক চার ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনে বাড়বে গরম। ১৫ এপ্রিলের মধ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পারদ ছোঁবে।'
চৈত্রে গলদঘর্ম পরিস্থিতিআবহাওয়া দফতরের তথ্য দেখাচ্ছে, গত বছর এই সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পারদ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ৮ এবং ১৬ এপ্রিল তেমনই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ২০২৩ সালে। রবিবার দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২১ থেকে ৬৩ শতাংশের মধ্যে। সোমবার দিল্লির আকাশ পরিষ্কার থাকলেও তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্কাইমেটের সহ সভাপতি মহেশ পালাওয়াত বলেন, 'কালবৈশাখী ঝড় কিছুটা হলেও তাপমাত্রার পারদ কমাচ্ছে। তবে তা সাময়িক। ধীরে ধীরে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে তা মারাত্মক অস্বস্তিকর জায়গায় পৌঁছে যাবে।'
তবে বর্ষা নিয়ে রয়েছে সুখবর। মৌসম ভবন জানিয়েছে, চলতি বছর বর্ষায় প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হবে। IMD-র ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, 'দক্ষিণ পশ্চিম বর্ষার জন্য চলতি বছর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। দেশে ফলনের উপযোগী বৃষ্টি হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।'