'সোনাঝুড়ি হাট' এবার চুঁচুড়ায়, গঙ্গার ধারে যেন এক টুকরো শান্তিনিকেতন
এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
বঙ্গবাসীর অন্যতম ভ্রমণস্থল শান্তিনিকেতন। আর সেই শান্তিনিকেতন ঘুরতে গেলে সোনাঝুড়ি হাট ঘুরতে যায় না, এমন মানুষ প্রায় পাওয়া যায় না বললেই চলে। সোনাঝুরি হাটে বিক্রি হওয়া জিনিসপত্র কিনতে মানুষের ভিড় থাকে প্রায় প্রতিদিনই। এবার হুগলির চুঁচুড়ায় সেই 'সোনাঝুরি হাট'। চুঁচুড়ার রূপনগর মাঠে সোনাঝুড়ি আদলে চালু হল তেমনই এক হাঠ। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সেই হাটের উদ্বোধন করেন পৌরপ্রধান অমিত রায়।একটি বেসরকারি সংস্থা ও চুঁচুড়া পৌরসভার উদ্যোগে রূপনগর টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে সোনাঝুড়ির আদলে চালু হল এক হাট। ৯ দিন বিকেল থেকে রাত এই হাট চলবে রূপনগর মাঠে। তাই কারও যদি মন চায় সোনাঝুড়ির হাটে গিয়ে গ্রাম বাংলার হাতের কাজের জিনিস, পছন্দের শাড়ি, অলংকার বা ঘর সাজানোর জিনিস কিনতে, তাহলে আর চিন্তা নেই, এখন তা আপনার শহরেই। যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগবে না। কারণ এখন সোনাঝুড়ি আর বীরভূমের শান্তিনিকেতনেই শুধু নয়, এখন তা চুঁচুড়াতেও। প্রতিদিনই সন্ধ্যা নামলেই ভিড় উপচে পড়বে বলে আশা উদ্যোক্তা।
কী কী পাওয়া যাচ্ছে?কী নেই সেখানে! ঘর সাজানোর জিনিস থেকে শুরু করে হ্যান্ডলুম শাড়ি, কাঁথা স্টিচ, নকশা করা শাড়ি, শার্ট, নানা ধরনের অলংকার, মহিলাদের ব্যবহারের ব্যাগ, চাদর, এমনকী খাওয়ার নানা উপকরণও পেয়ে যাবেন সেখানে। একদম সোনাঝুড়ি মতোই আমেজ উপভোগ করতে পারবেন এখানে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিল্পী বিক্রেতারা এসেছেন নিজেদের জিনিসের সম্ভার নিয়ে। চুড়িদার থেকে ঘর সাজানোর জিনিস, পাপড় থেকে শুরু করে একতারা সব কিছুই পাওয়া যাচ্ছে চুঁচুড়ার এই সোনাঝুড়ির হাটে।
আর কী কী মিলছে?আদিবাসী হস্তশিল্পের ঘর সাজানোর দ্রব্য থেকে লোকসঙ্গীতের যন্ত্র, সবই রয়েছে এই হাটে। ঠিক যেমনটা হয় সোনাঝুড়ির হাট, তেমনই অবিকল সেজে উঠেছে চুচুড়ার এই রূপনগর ময়দান। মেলায় ঘুরতে আসা মহিলারা আদিবাসী নৃত্যের তালে পা মেলাচ্ছেন। বেতের কুলো, পট চিত্র, নানান ধরনের ছবি জামা কাপড় সবই রয়েছে এই সোনাঝুড়ির মেলায়। এই মেলায় আহত মানুষজন এসে মনে করছেন তাঁরা যেন ঠিক সোনাঝুড়ির হাটেই চলে এসেছেন।
চুঁচুড়ায় গঙ্গার ধারের প্রাকৃতিক পরিবেশেরও সামঞ্জস্য রয়েছে এই হাটের সঙ্গে। আর সেই কারণেই এখানে এসে কার্যত মানুষ ভুলে যাচ্ছেন তাঁরা হুগলির চুঁচুড়ায় রয়েছেন না কি বোলপুরের সোনাঝুড়ির হাটে। এই বছর হাটের স্টলের সংখ্যাও বেড়েছে। প্রথমদিন থেকেই বহু সংখ্যক মানুষের আসছেন এই মেলায়, যা দেখে আশাবাদী বিক্রেতারাও। তাঁদের আশা ভালোই লাভ হবে এবারের হাটে।