‘লোকসভায় এমন ফল হবে, সরকার আগেই পড়ে যাবে’, ফের ডেডলাইন শুভেন্দুর
এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে আরও বছর দুয়েক বাকি। নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই রাজ্য সরকারের পতন ঘটবে বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের সরকার ফেলে দেওয়ার ব্যাপারে ফের ডেডলাইন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।এবারের লোকসভা ভোটে যে ফল হবে, তাতে আমাদের দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে না, তার আগেই রাজ্য সরকারের পতন হবে বলে দাবি করলেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে আবারও রাজ্য সরকারের সময়সীমা বেঁধে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দেড় বছরের আগেই রাজ্যে সরকারের পতন ঘটবে বলে আবারও একবার আওয়াজ তুললেন শুভেন্দু।
সোমবার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে পূর্ব পাঁশকুড়ার যদুপুর ফুটবল ময়দানে জনসভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। সভায় বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু বলেন, ‘এবারের লোকসভা ভোটে যে ফল হবে, তাতে আমাদের দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে না।’ পশ্চিম বাংলায় পরিবর্তন হবে, ডবল ইঞ্জিন সরকার হবে বলেও জানান শুভেন্দু।
ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে কী কী পাবেন তাও এদিন শুভেন্দু তুলে ধরনে সভায় উপস্থিত কর্মী, সমর্থকদের সামনে। শুভেন্দু বলেন, ১০০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০০ টাকা দেওয়া হবে, বার্ধক্য, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা ৩০০০ টাকা হবে লিখে রাখুন। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে। প্রতি বছর এসএসসি হবে। তাঁর আরও প্রতিশ্রুতি, আমরা ক্ষমতায় এলে ৪০০ টাকায় গ্যাস দেবো। তাই বলছি সকলকে একজোট হয়ে লড়াই করতে। মোদীজির হাত শক্ত করতে হবে।
কীভাবে বিজেপিতে অভিজিৎ! জানালেন শুভেন্দু অধিকারী
সিপিএম নিশানা করে তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে আমি যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাথে লড়াই করতে দাঁড়াই তখন সংখ্যালঘু কে প্রার্থী না করে মীনাক্ষীকে প্রার্থী করা হয়েছিল। আবার ২৪ লোকসভা নির্বাচনেও তমলুকে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করছে। এতে লাভ কিছু হবে না। কোথায় কী করতে হয় তা আমার জানা আছে।’ এদিনের নির্বাচনী সভায় শুভেন্দুর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপসী মন্ডল সহ অন্যান্যরা।
দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে হেনস্থা করার বিষয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘ওঁরা আইন জানে না, ওখানে ফোটোসেশান করতে গিয়েছে। যাতে মিডিয়া পাবলিসিটি পায়। বাংলায় বাজার খুব খারাপ, মিটিংয়ে লোক হচ্ছে না, ৮০ ভাগ চেয়ার খালি। কারণ, সরকারি প্রকল্পের কিছু দেওয়ার সুযোগ নেই তাই কেউ নেই।’